ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সুলেখকের সম্পাদনায় আগ্রহ একাডেমির বইয়ে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
সুলেখকের সম্পাদনায় আগ্রহ একাডেমির বইয়ে বাংলা একাডেমি ও শিশ একাডেমির স্টলে ক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

সুলেখকের সুসম্পাদিত বই, তাই সহজেই আকৃষ্ট করে পাঠককে। আরো একটি বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো অন্যান্য প্রকাশনীর তুলনায় একাডেমির বইয়ের মূল্যও অনেক কম। তাই সাধারণ পাঠকের আগ্রহে সবসময়ই থাকে একাডেমির বই।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শিশু একাডেমির বইমেলা ঘুরে দেখা যায় এ মেলায় পাঠকদের জন্য বই এনেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

একাডেমির স্টলগুলো ঘুরে দেখা যায়, শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত সুকুমার বড়ুয়ার 'ছোটদের হাট', বেণীমাধব সরকারের 'একাত্তরের বর্গী', মিহির মুসাকীর 'বাঘের বাবা আমি', আসলাম সানীর প্রিয় বাংলাদেশ, কামাল হোসাইন এর স্বপ্ন দিয়ে, জসীমউদ্দীনের হীরামন, আহসান হাবীবের ছুটির দিন দুপুরে, আনোয়ারা সৈয়দ হক এর ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ, বিপ্রদাশ বড়ুয়ার বুদ্ধি ও বোকামোর গপপো, সুজন বড়ুয়ার মুকলির একদিন, লুৎফর রহমান রিটনের ভাই বোনের গল্প, আখতার হোসেনের পথমামা ও কাঠবিড়ালির ছানা, নির্বাচিত সুকুমার রায় শিশু সাহিত্য, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী নির্বাচিত রচনাসহ বিভিন্ন জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ এবং নাটকের বই শিশুসহ বড়দের আগ্রহে আছে।

 
বাংলা একাডেমির বইগুলোর মধ্যে মিসরীয় লেখক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশির ‘শেখ হাসিনা: যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ (অনুবাদ: ইসফানদিয়র আরিওন), মলয় বালার ‘বাংলার প্রাতিষ্ঠানিক প্রাচ্য চিত্রকলার ধারা’, সিরাজুল ইসলামের ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা রণাঙ্গনে-ইঙ্গ-চীন ও মার্কিন সহযোগিতা’, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের ১৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ’, অজয় দাশগুপ্ত সম্পাদিত ‘সাত দশকের হরতাল  ও বাংলাদেশের রাজনীতি’, সুরাইয়া বেগম সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রাণদানকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী’, ইউসুফ হাসান অর্কের ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্য পালাগান আঙ্গিক বিচার ও বর্ণনাকারীর অবস্থান অনুসন্ধান’, শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত ‘নতুন সময়ের কবিতা’, শাহিদা খাতুনের ‘কবিয়াল বিজয় সরকারের সংগীত জীবনের বিচিত্র ভুবন’, অমলেশ চন্দ্র মণ্ডল ও মো. কামরুল ইসলামের ‘কঠিন পদার্থের বলবিদ্যা’ উল্লেখযোগ্য।  

এছাড়া অসীম সাহা, মাহবুব সাদিক, সানাউল হক খান ও দিলওয়ারের ‘নির্বাচিত কবিতা’সহ উল্লেখযোগ্য বই রয়েছে বলে জানান মেলায় স্টলের দায়িত্বে থাকা মো. হাফিজ।  

শিল্পকলা একাডেমির বই এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো জাফর আহমদ হানাফীর 'উপজাতীয় নন্দন সংস্কৃতি', আফরোজা পারভীনের 'নড়াইল জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস', ওমর ফারুক এর 'সমাহার', আসলাম আহসান সম্পাদিত 'সৈয়দ হকের গান- তুমি আসবে বলে', কবির চৌধুরীর 'গয়্যা', হাশেম খানের 'চারুকলা পাঠ', নজরুল ইসলামের 'জয়নুল আবেদীন', সৈয়দ আজিজুল হকের 'কামরুল হাসান', মফিদুল হকের 'কাইয়ুম চৌধুরী', লিয়াকত আলী লাকীর 'বাংলাদেশের শতবর্ষী নাট্যমঞ্চ'সহ বিভিন্ন শিল্প সাহিত্য ও নাটকের বই 

বই কিনে ফেরার সময় প্রবীণ পাঠক আহমেদুর জুবায়ের বলেন, ভালো লেখকের ভালো বই সহজেই পাঠকদের আকৃষ্ট করে। আর বিভিন্ন বিষয়ের ও ভিন্ন ধাঁচের বইয়ের সঙ্গে ভালো সম্পাদনাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।  

‘এক কথায় সেই আস্থার জায়গা থেকে অনেকটা নিশ্চিন্তে নেয়া যায় বিভিন্ন একাডেমির বইগুলো,’ যোগ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এইচএমএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।