সেই সময়টা কি আর কোন কথার, তা বুঝে নিতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের সামনে মেলে দিয়ে গেছেন একরাশ বর্ষামঙ্গলের গান। বর্ষাকালে বিরহিণীর সমস্ত যেমন ‘আমি’ একা হয়ে উঠে, সমস্ত ‘আমি’ জেগে ওঠে, তেমনি সেসব অনুভূতিকে কাব্যের পরতে পরতে ছড়িয়ে দিয়ে গেছে রবীন্দ্রনাথ।
বর্ষামঙ্গলের সূচনা থেকে জীবনের অন্তিম বর্ষামঙ্গল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ প্রতিটি পর্বেই এ ব্যক্তিগত বেদনার ছবি এঁকে গেছেন। আর সেসব ছবির গান নিয়েই রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অবয়ব নাট্যদলের রবীন্দ্রনাথের গানের ছন্দ আর পাঠ নিয়ে বর্ষামঙ্গলের আয়োজন ‘শ্রাবণ হয়ে এলে ফিরে’।
শুক্রবার (২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় আয়োজনে শুরুতেই আয়োজক নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয় শুভেচ্ছা। এরপর মিয়াঁমল্লার রাগে সেতার বাজিয়ে দর্শকদের বিমোহিত করেন এবাদুল হক সৈকত। এ সময় এস্রাজে মল্লারের সুর বাজিয়ে সমস্ত মিলনায়তনে তৈরি করা হয় বর্ষার আবহ।
সেতারের পরিবেশন শেষ হতেই শুরু হয় সম্মেলক গান। 'বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে' গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে গান পরিবেশন করেন ‘না-গান গাওয়ার দল’।
এসময় তারা একে একে একক ও সম্মেলকে ‘ঝুলি এলো ঝুলি এলো ওরে প্রাণ’, ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’, ‘গহন ঘন ছাইল গগন ঘনাইয়া’, ‘ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে’, ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে’, ‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে’, ‘বাদল মেঘে মাদল বাজে’, ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’সহ বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন। একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পাঠে মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/