ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সাড়ে ১২ লাখ টাকার চিত্রকর্ম ‘টোকাই’

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
সাড়ে ১২ লাখ টাকার চিত্রকর্ম ‘টোকাই’

ঢাকা: শিল্পের মর্যাদা কেবল কাজে নয়, দামেও। আর চিত্রশিল্প হলে তো কথাই নেই। কালে কালে এ শিল্পের কদর বেড়েই চলেছে। বেড়েছে শিল্পমূল্যও।

বরাবর ধনিক শ্রেণির মনোরঞ্জনের মধ্য দিয়েই শিল্পের বিকাশ হয়েছে বলেই কিনা চিত্রশিল্প নিম্নবিত্তের ঘরে স্থান পেয়েছে কমই। সেই যে রাজা-বাদশাহরা পোট্রেট করতেন, তাদের দরবারে শোভা ছড়াত কোনো তৈলচিত্র কিংবা স্কেচ, তাতে শিল্পীর ক্ষুধাই কেবল নিবারণ হয়নি।

বিকশিত হয়ে শিল্পগুণও।

বলা হয়ে থাকে উচ্চমর্যাদা শিল্পকর্মের অর্থমূল্য একটু বেশি হয়ে থাকে। তার ওপর সেটা যদি হয় জনপ্রিয়, তাহলে তো কথাই নেই।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশ বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী’র আঁকা যে কর্মটি রীতিমত জনপ্রিয় হয়েছে সেটা হলো ‘টোকাই’।

একদল ছিন্নমূল শিশু উদাম গায়ে বসে গান-বাজনা করছে একমনে। ‘টোকাই’ নামে এমনই এক দৃশ্যপটের যে ধারণা তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন রফিকুন নবী। কাগজের ওপর আঁকা দৃষ্টিনন্দন এ চিত্রকর্মটি ঘরের দেওয়ালে টানিয়ে শোভা বাড়াতে চাইলে গুনতে হবে সাড়ে ১২ লাখ টাকা।

‘টোকাই’ নয় কেবল, দারুণ সব চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী চলছে উত্তরার গ্যালারি কায়ায়।  

যে শিল্পীদের চিত্রকর্ম এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে, তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম, মুর্তজা বশীর, কাইয়ুম চৌধুরী, সমরজিৎ রয় চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী, হামিদুজ্জামান খান, কালিদাস কর্মকার, চন্দ্র শেখর দে, মোহাম্মদ ইউনুস, জামাল আহমেদ, কাজী রকিব রঞ্জিত দাস, আহমেদ শামসুদ্দোহা, শেখ আফজাল হোসেন, শিশির ভট্টচার্য ও মোহাম্মদ ইকবাল।

এ প্রদর্শনীতে সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ লাখ টাকার চিত্রকর্ম রয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, নারী ও প্রকৃতির ওপর আঁকা কর্মগুলোই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের টানছে।

এরমধ্যে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কাইয়ুম চৌধুরীর ৬ লাখ টাকার ‘নেচার’, হামিদুজ্জামান খানের এক লাখ ৭৫ হাজারের ‘আ ভিউ ফ্রম মিরপুর’, দুই লাখ ২৫ হাজারের ‘সদরঘাট, চন্দ্র শেখর দের ছয় লাখের ‘ওয়েটিং ইন অটাম’, জামাল আহমেদের এক লাখের ‘লাভ’ ও ‘রিভার ব্যাংক’, রনজিৎ দাসের ৮০ হাজারের ‘দি গার্ল’, আহমেদ শামসুদ্দোহার ‘নেচার’, শেখ আফজাল হোসেনের ৯০ হাজারের ‘ওমেন’ ও ৭৫ হাজারের ‘সিটিং ওমেন’ প্রভৃতি শিরোনামের চিত্রকর্মগুলো।

গ্যালারি কায়ার সমন্বয়ক রাজেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রদর্শনীতে বুকিং নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ক্লায়েন্টের বাসায় পৌঁছে দিই। চিত্রকর্মের দাম নির্ধারণ করেন শিল্পী নিজেই। আমরা প্রদর্শনীর আয়োজন করি। এক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ আমরা নিই। এছাড়া বিখ্যাত অনেক চিত্রকর্ম আমরা দেশের বাইরে থেকেও কিনে আনি। সেভাবে বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।