ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কবিতার শব্দে কবি নূরুল হুদার জন্মদিন উদযাপন

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
কবিতার শব্দে কবি নূরুল হুদার জন্মদিন উদযাপন

ঢাকা: মুহম্মদ নূরুল হুদা, পুরো বাংলাদেশ যাকে জাতিসত্তার কবি হিসেবে চেনে। তবে তিনি শুধু বাঙালি জাতিসত্তার নয়, বরং ছড়িয়ে যেতে চান আরও সুদূরে। তাইতো দীপ্ত কণ্ঠে বলতে পারেন, ‘যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর এই বাংলাদেশ/ দরিয়ানগরে জন্ম, পৃথিবীর সর্বপ্রান্ত আমার স্বদেশ।’

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতিসত্তার এই কবি পা রাখলেন ৭০ বছর বয়সে। এ উপলক্ষে বিকেলে বাংলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় কবির জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানের।

একই সঙ্গে কবিতা আবৃত্তি, সম্মাননা ও শুভেচ্ছাসহ কবির বিভিন্ন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ আয়োজনে।

বিকেলে প্রথমেই কবির ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আবৃত্তি করা হয় কবির ৭০টি কবিতা। বর্তমান সময়ের নবীন ও তরুণ আবৃত্তিকারদের কণ্ঠে কবির কবিতা পাঠের পর কবিকে জানানো হয় ফুলের শুভেচ্ছা। এসময় বাংলা একাডেমি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ কবির শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা জানানোর পর শংসাবচন পাঠ করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

আয়োজনের দ্বিতীয় ভাগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বিশিষ্ট ফোকলরবিদ অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ, অধ্যাপক মণিরুজ্জামান, কবি কামাল চৌধুরীসহ বিশিষ্ট জনেরা।

আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি আমিনুর রহমান। কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কবি পুত্র ও কবি কন্যা রিয়াদ উল্লাহ এবং আনজুম হুদা দিশা। কবির ‘অগ্নিময়ী হে মৃন্ময়ী’ কবিতাটি আবৃত্তি করে কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্ট আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এরপর কেক কেটে উদযাপন করা হয় কবির জন্মদিন। তারপর কথা বলেন তিনি সকলের উদ্দেশে।

সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি নূরুল হুদা বলেন, বয়স বাড়ছে। তবে আমার ভয় হয় না। কেননা মৃত্যু বলে কিছু নেই। যা আছে, তা শুধুই জন্ম। যে সূর্য আলো দিতে দিতে ডুবে যায়, সে আবার আলো নিয়েই জেগে ওঠে, তাহলে সূর্যের মৃত্যু হলো কোথায়! সে কোথাও না কোথাও তো ঠিকই আলো দিচ্ছে। আমার কবিতাও অনেকটা তাই। একটি কবিতার স্বপ্নই নতুন কবিতা লিখতে উৎসাহিত করে। বাউলের মতো ঘোরাঘুরি করে কবিতা লিখি আমি। তবে সে কবিতা গ্রহণ বা বর্জন অথবা ভাল-মন্দ বিচারের দায় আমার নয়, সম্পূর্ণই পাঠকের।

আয়োজনে কথাপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত কবির ‘বাছাই ৭০’, জার্নিম্যান বুকস থেকে প্রকাশিত ‘রোহিঙ্গা অ্যান্ড আদার পোয়েমস’, বটেশ্বর থেকে প্রকাশিত ‘সপ্তর্ষীর জন্য কবিতা’, পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত ‘নারী তরঙ্গ তোমার’, ‘গালিবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী’, ‘বারো বছরের গল্প’ এবং একাত্তর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘আমার অক্ষর যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।