সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ রেজা নাফার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক আজাদ রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. কাযেম কাহদুয়ী।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার বলেন, ইরান ও বাংলাদেশ দুই দেশের মানুষ পাশাপাশি বসেছেন এবং হাফিজের ব্যাপারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন, এটা একটি অসাধারণ বিষয়। বাংলাদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে ফারসি সম্পর্ক রয়েছে, তারা সীনায় সীনায় ফারসিকে সংরক্ষণ করেছেন। আমরা গর্ববোধ করি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০০ ছাত্রছাত্রী ফারসি ভাষায় শিক্ষালাভ করছেন।
অনুষ্ঠানে আজাদ রহমান বলেন, হাফিজের জন্ম ১৩১৫ সালে। আর তিনি ইন্তেকাল করেন ১৩৯০ সালে। অর্থাৎ প্রায় ৭০০ বছর ধরে তার রচনা আমাদের মধ্যে রয়েছে। তিনি অসাধারণ গযল রচনা করেছেন। গযল সংগীতে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানের গযলের ব্যাপক প্রভাব ছিল। কিন্তু বর্তমানে গযল রেওয়াজ কম হচ্ছে। কেবল বাংলা বা উপমহাদেশের জন্য নয়, বরং সারাবিশ্বের জন্য হাফিজের প্রয়োজন। তিনি প্রেমের বাণী শুনিয়েছেন। প্রেমই স্নেহ, প্রেমই মমতা, প্রেমই মানবতা। ভালোবাসা ছাড়া মানুষ পশুতে পরিণত হয়।
ড. কাযেম কাহদুয়ী বলেন, আমরা ফারসি ভাষাভাষীরা এ কারণে গর্ববোধ করি যে, হাফিজ, সাদী, রুমির মতো মহাকবিরা আমাদের মধ্যে এসেছিলেন। আমরা সরাসরি তাদের কবিতার রস আস্বাদন করতে পারি। তিনি ছিলেন এমন একজন কবি যার কবিতার বই ইরানের প্রায় প্রতিটি ঘরে পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি রাখা হয়।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে বিভিন্ন গজল পরিবেশন করে দুই দেশের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে গজলশিল্পীদের সঙ্গে সুরের মূর্ছনায় মঞ্চ মাতান বিশিষ্ট বংশীবাদক আরিফুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাহিত্য ও সংগীত অনুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এইচএমএস/আরএ