সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি জ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী।
বক্তারা বলেন, একটা সময় ছিল যখন ক্লাসের বইয়ের বাইরে আমরা নানামুখী বই পড়তাম। কিন্তু বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীরা বইয়ের ভারেই কাবু হয়ে থাকেন। আমরা যেসব খেলাধুলা, গান-বাজনা, বইপড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতাম, তার অনেক কিছু থেকেই বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক দূরে। এর ফলে অনেকেরই সুষ্ঠু বিকাশ বাঁধাগ্রস্থ হয়। তাই ক্লাসের বই পড়ে শুধু প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতা নয়, বরং বই পড়ে অন্য জ্ঞান অর্জন করে এবং সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। তবেই সত্যিকারের মানুষ হওয়া সম্ভব।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুল হক। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সমিতির সাংগঠনিক পরিচালক হাসান জায়েদী।
শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পরীক্ষায় (পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, ও লেভেল, এ লেভেল, অনার্স) কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র সদস্যদের সন্তানদের সংবর্ধিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি