কবিগুরুর আগমনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে শতবর্ষপূর্তি আসছে নভেম্বর মাসে। এ উপলক্ষে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব’র আয়োজন চলছে সাড়ম্বরে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্ব কবির সিলেট আগমণের শতবর্ষ উদযাপনে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ অনুষ্ঠান কারও একার নয়, পুরো সিলেটের, পুরো দেশের। ফলে এ অনুষ্ঠান সফলে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
বক্তারা বলেন, এ অনুষ্ঠান নিয়ে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে সারাবিশ্বে এ অনুষ্ঠানের খবর ছড়িয়ে পড়বে। এতে বিশ্বজুড়ে সিলেট শহর আরও উচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফলভাবে সম্পন্ন হবে এ উৎসব।
এসময় সিলেটের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অনুষ্ঠান সফলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম উদ্যোক্তা মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সাবেক মহানগর কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন, বীর মু্ক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, বিএমএ কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. মো. ইহাতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক ‘সুজন’ সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল চৌধুরী নাদেল, সিলেট চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েব, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডা: সভাপতি আফজাল রশিদ চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট ইউমেন্স চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্নলতা রায়, ওয়াকার্স পার্টির সাধারল সম্পাদক মো. সিকন্দর আলী, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মারিয়ান চৌধুরী, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদারুল আলম চৌধুরী নবেল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুনির্মল কুমার দেব মীন, সংস্কৃতিকর্মী ডা. নাজরা চৌধুরী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান জামিল, বাপা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম, আইডিবিইবি সভাপতি মো. নজরুল হোসেন, বাকবিশিসের সহ-সভাপতি হিমাংশু রঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস, পরিবেশ হাওর উন্নয়ন সংস্থা সভাপতি কাসমির রেজা।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মামুন কিবরিয়া সুমন, হুমায়ুন আহমদ, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের পরিচালক লুবনা ইয়াসমিন, বাকবিশিস সভাপতি অজয় কুমার রায়, সম্মিলিত নাট্যপরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৫ নভেম্বর কিন ব্রিজ চত্বরে এবং ৭ ও ৮ নভেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হবে অনুষ্ঠানের মূলপর্ব। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে হবে নানান ধরনের অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানস্থল গুলোতে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) পক্ষ থেকে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল টিম, রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে থাকবে স্বেচ্ছাসেবক, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প। এছাড়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য স্টেডিয়ামে কক্ষের ব্যবস্থা করবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আর স্টল বরাদ্দ পেলে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে সহযোগিতা করবে সিলেট উইমেন চেম্বার।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/