বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, কতিপয় কিছু শিল্পী গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। এর কারণে সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সমাজসেবা অধিদফতর।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন বিরোধী ২/১জন শিল্পীর প্ররোচনায় সংস্থার সুনাম নষ্ট করা ও নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে দুঃখজনকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সমাজসেবা দফতর থেকে কয়েকজন দলছুটশিল্পী (যাদের অধিকাংশই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ও পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন) অত্যন্ত গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন।
‘কিন্তু নিবন্ধন হওবার আগেই সংস্থা নেতৃত্ব বিষয়টি জানতে পেরে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ দেওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর তাদের সে নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্থগিত করে। এ বিষয়ে গত ১৭/১০/২০১৯ তারিখে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। ’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিও বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পদককে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তারপরেও সে মহলটি সংস্থার নাম তাদের পক্ষে নিবন্ধন করেছেন বলে দাবি করে শিল্পী এবং রবীন্দ্রানুরাগীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
রবীন্দ্র চেতনাবিনাশী এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি লজ্জিত ও দুঃখিত এবং এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এদেশের রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পীরা, ক্ষতি হচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার অগ্রযাত্রা বলেও উল্লেখ করা হয় ওই বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/এএটি