শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় ও শেষ দিন সকালে আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাগেইনস্ট ইটসেলফ’ শীর্ষক অধিবেশনে এসব কথা বলেন ভারতীয় লোকসভার সদস্য শশী থারুর।
এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমার মতে, কাশ্মীর সঙ্কট নিরসনে মোদীর ওই পদ্ধতিই কার্যকর উপায় ছিলো।
অধিবেশনে কাশ্মীরের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে দর্শকদের এক প্রশ্নের জবাবে শশী থারুর বলেন, যেভাবে কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করা হচ্ছে, সেটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উপায় হতে পারে না। বর্তমানে সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। গণতন্ত্রে এটা অগ্রহণযোগ্য পন্থা।
‘সেখানকার সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন শুধুমাত্র গর্ভনর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এটি মূলত সংসদে আলোচনা করে নেওয়া উচিত। আমি মনে করি, এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। জানি না, কেউ হয়েছেন কিনা। তবে একটা ব্যাপার স্পষ্ট। আর তা হলো- এখানে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে। এভাবে ভারতে গণতন্ত্র প্রচলিত হওয়ার কথা নয়। ’
ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মতো কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক সমাধান বের করা যেতো বলে মন্তব্য করেন শশী থারুর। আগামী সপ্তাহে লোকসভার অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদীকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে তার পূর্বপ্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন বলেও জানান তিনি। এসময় কাশ্মীর নিয়ে তিনি নিজে বিভিন্ন সময় লোকসভায় কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
শনিবার বাবরি মসজিদের রায় ঘোষণা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না জানিয়ে শশী থারুর বলেন, আমি আশা করি, মানুষ এটা মনে রেখে, এর সমাপ্তি হিসেবেই দেখবে। এবং উত্তরণের পথে হাঁটবে। আমরা সামাজিকভাবে অনেক ভুগেছি এ নিয়ে। আমাদের জন্য এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
ডিএন/এইচজে