শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে নয়দিনের এ নাট্যোৎসব।
উৎসবের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।
উদ্বোধনকালে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, নাটকের মাধ্যমে আমরা গণমানুষের সামনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে দুই বাংলার সংস্কৃতির বিনিময় ঘটছে।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তবে এর সূচনা মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীও রক্ত দিয়েছে। যে কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের রয়েছে রক্তের সম্পর্ক। সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
কে এম খালিদ বলেন, দুই দেশের মানুষের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়েই আমাদের এই স্বাধীনতা। সংস্কৃতি ও বন্ধুত্বের নানা দিকে ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক মিল রয়েছে। সংস্কৃতির বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই বন্ধুত্ব আরও পাকাপোক্ত হবে।
রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, আজ ৬ ডিসেম্বর। এই দিনেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। এ ধরনের উৎসব আরও বেশি বেশি হওয়ার দরকার বলেই আমি মনে করি।
আয়োজক নাট্যদলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নূনা আফরোজের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গের নাট্যকর্মী প্রকাশ ভট্টাচার্য, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ প্রমুখ।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার আগে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রাঙ্গণেমোরের নাট্যকর্মীরা একটি গীতি-নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করেন।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় গৌতম সরকার নির্দেশিত কলকাতার প্রাক্সিস নাট্যদলের নাটক ‘আর্ট’।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শেষ হবে নয়দিনের এই নাট্য উৎসব। এর আগের দিন (১৩ ডিসেম্বর) দেওয়া হবে ‘প্রাঙ্গণেমোর নাট্যযোদ্ধা সহযোদ্ধা সম্মাননা’। এটি দেওয়া হবে মামুনুর রশীদের সহধর্মিণী গওহর আরা চৌধুরী, আতাউর রহমানের সহধর্মিণী শাহিদা রহমান ও লিয়াকত আলী লাকীর সহধর্মিণী কৃষ্টি হেফাজকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
ডিএন/এসএ