শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কর্মসূচির আহ্বায়ক মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
রামেন্দু মজুমদার বলেন, গত ৪৮ বছরে আমরা আমদের জাতীয় জীবনে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন তো এমন জায়গায় পৌঁছেছিল প্রায় স্বাধীনতাই আমদের হাতছাড়া হতে বসেছিল। ইতিহাসের নিয়মে বাংলাদেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের ধারায় পরিচালিত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আমাদের বৈষয়িক উন্নতি অনেক হয়েছে। নানা সূচকে আমরা উন্নতি পরিলক্ষিত করছি। কিন্তু একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের নৈতিক অবক্ষয় বেড়েছে। এ অবক্ষয় দূর করার জন্য আজকে আমরা এ বিজয়ের অঙ্গীকার সাংস্কৃতিক অধিকার এই স্লোগানটি নির্ধারণ করেছি। আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনা নিম্নগামী হয়েছে বলে আজকে আমরা এ অবস্থার মধ্যে পৌঁছেছি। মানুষের চেতনার উন্নতি না হলে সব উন্নয়ন ভেস্তে যাবে।
তিনি বলেন, আর দুই বছর পরে আমরা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো। সেই সুবর্ণজয়ন্তী যেন বাংলাদেশর জন্য সুবর্ণ সময় বয়ে আনে সেটা আমরা দেখতে চাই।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারসহ ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ, মিরপুর ও দনিয়ায় উদযাপিত হবে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হবে। এসব অনুষ্ঠানে দলীয় ও একক পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, পথনাটক, শিশু পরিবেশনা থাকবে। এসবে অংশ নেবেন প্রায় আড়াই হাজারের মতো সংস্কৃতিকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/