রোববার (ডিসেম্বর ২২) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ফটোগ্রাফি সোসাইটি (বিইউপিপিএস) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিল– ‘বিইউপিপিএস প্রেজেন্টস কনট্রাস্ট ৩.০’।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি জাতির পরিচয় সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। আর সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার চর্চায়, নানান আঙ্গিকে, নিত্য নতুন ধাঁচে। প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ভাঙছি, আবার গড়ছি। সময়ের পরিক্রমায় আমরা আধুনিক জাতি। যান্ত্রিকতায় আমরা আবদ্ধ। তাই আমরা খুঁজে-ফিরি আমাদের ফেলে আসা অতীতকে। ভাবি, অতীতের এ মুহূর্তগুলোকে যদি ফ্রেমে বন্দি করে রাখা যেত! এভাবেই ফটোগ্রাফির জন্ম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিইউপি’র সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক সায়েন্সের ডিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইউপিপিএস’র সভাপতি সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম তামজিদ।
গত ১৯ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ১ নম্বর গ্যালারিতে শুরু হয় এ প্রদর্শনী। এতে পোর্ট্রেট, ওয়াল্ডলাইফ, অ্যাবস্ট্রাক্ট ও ট্রাভেল, এই চার বিভাগে জমা পড়া এক হাজার দুইশ ছবি থেকে বাছাই করা ১০০টি ছবি প্রদর্শিত হয়।
প্রদর্শনীতে বিজয়ের মাস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কিছু ঐতিহাসিক ছবিও প্রদর্শনীর একটি বিশেষ কর্নারে স্থান পায়।
জমা পড়া আলোকচিত্র থেকে প্রতিযোগিতা বিভাগে শিরোপা জিতে নেয় নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব এবং রানার্স আপ নির্বাচিত হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফারস অ্যাসিয়েশন।
এ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন আলোকচিত্রী হাসান এস চন্দন, মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান এবং সৈয়দ লতিফ হোসাইন। এছাড়াও তাদের পরিচালনায় তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করা বিইউপিপিএস ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অংশগ্রহণে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বিইউপিপিএস।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
ডিএন/এসএ