জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহিম। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবী মালেকা খান।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশকালে নাদিরা মজুমদার বলেন, এ পুরস্কারপ্রাপ্তি আমার অভিভূত হওয়ার মুহূর্ত; এখন আমার মনে পড়ছে জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত। যারা আমার এখানে আসার পথ তৈরি করেছেন তাদের কথা মনে পড়ছে, যার সর্বাগ্রে রয়েছেন আমার বাবা ও মা।
তিনি বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তি আনন্দজনক। এখানে দু’টি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ পুরস্কার প্রদান করছে, অন্য পক্ষ গ্রহণ করছে। গ্রহণ পক্ষে থাকায় আমি আনন্দিত, অভিভূত।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নাদিরা মজুমদার ভিন্ন মাত্রার লেখক। বিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার মতো আর কোনো লেখক বাংলা সাহিত্যে লেখেন না। এর জন্য তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিও অসাধারণ। তার লেখা অত্যন্ত প্রাণবন্ত।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যখন দেখি নাদিরা সাংবাদিকতা করছেন, তখনই মনে হয়েছিল তিনি অনেক দূর যাবেন। আসলেই তা হয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ভেঙে তিনি এগিয়ে গেছেন। বিদেশে গেলেও তিনি বাঙালি ছিলেন। বাঙালির জন্য লিখেছেন।
বাংলা ১৪০১ সাল (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর একজন নারী সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয় এ পুরস্কার। এ পর্যন্ত যারা এ পুরস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন- সেলিনা হোসেন, রিজিয়া রহমান, নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রাবেয়া খাতুন, সনজীদা খাতুন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম (মরণোত্তর), নূরজাহান বেগম, রাজিয়া খান, রুবী রহমান, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মকবুলা মনজুর, ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, সালেহা চৌধুরী, নূরজাহান বোস, মালেকা বেগম, কাজী রোজী, নিয়াজ জামান, জাহানারা নওশিন, সোনিয়া নিশাত আমিন, বেগম আকতার কামাল, বেগম মুশতারী শফি ও আকিমুন রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ডিএন/এফএম