ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শুরু হলো দুই দিনব্যাপী ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
শুরু হলো দুই দিনব্যাপী ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব’ শুরু হলো দুই দিনব্যাপী ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব’। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রসিদ্ধ আবৃত্তি চর্চার প্রচার ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলনের আয়োজনে শুরু হলো দুই দিনব্যাপী ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব’। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’।

শুক্রবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এ মিলনোৎসব উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাসান ইমাম বলেন, ওয়াহিদুল হকের দীক্ষা নিয়েই নতুন ধারার সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে কণ্ঠশীলন। তিনি কখনও নিজের নীতির সঙ্গে আপস করেননি। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন। তার বাহ্যিক অবয়ব সাধারণ মনে হলেও তিনি ছিলেন উচ্চ পর্যায়ের একজন মানুষ। ওয়াহিদুল হক তার ছাত্র-ছাত্রীদের সবসময় আদর্শ নাগরিক ও উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। স্বাধীনতার ইতিহাসে তার সাহসিকতা উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ওয়াহিদুল হক এক অনিবার্য নাম। যার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পদযাত্রার এক অমোচনীয় অধ্যায় তৈরি হয়েছে। তিনি যেমন কণ্ঠশীলনের একজন প্রতিষ্ঠাতা তেমনি এ দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ছায়ানট, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা। ভাষা, সংগীত ছাড়াও তিনি আরও অনেক বিষয়ে দক্ষ এবং আগ্রহী ছিলেন। রাজনীতি, সংস্কৃতি, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ইতিহাস, চিত্রকলাসহ অনেক বিষয়ে তার অসামান্য দখল ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ’স্বাধীন বাংলা শিল্পী সংস্থা'র প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। পেশা হিসেবে সাংবাদিক হলেও ওয়াহিদুল হক ছিলেন একজন সংগঠক। তার আসল কর্মক্ষেত্র ছিল সাংস্কৃতিক অঙ্গন।

কণ্ঠশীলনের সভাপতি গোলাম সারোয়ারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কণ্ঠশীলনের অধ্যক্ষ মীর বরকত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিলনোৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, জীবদ্দশায় যেমন ওয়াহিদুল হক মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন। তেমনি তার প্রতি কেবল বাংলাদেশের মানুষ নন, সব বাঙালির নিখাদ ভালোবাসার একটুও কমতি নেই। কোনোদিন কোনো স্বীকৃতির মোহ তাকে আবিষ্ট করতে পারেনি। সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৮ সালে তিনি ’একুশে পদক (মরণোত্তর)’ ও ২০১০ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার 'স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর)' লাভ করেন।

কণ্ঠশীলেনর এবারের আয়োজনে 'ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব সম্মাননা ২০২০' প্রাপ্ত হয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। উৎসব চলবে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।