ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মঞ্চের আলো জ্বলবে কবে?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২০
মঞ্চের আলো জ্বলবে কবে?

ঢাকা: সীমিত আর বৃহৎ আকারে হোক- এখন দেশের সবকিছু উন্মুক্ত। ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে আবারও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে রাজধানীসহ সমগ্র দেশ। সে সঙ্গে খুলে গেছে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের কেন্দ্র বিন্দু শিল্পকলা একাডেমি। গত ৩১ মে থেকে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড শুরু হলেও এখনও কোনো অনুষ্ঠান হয়নি সেখানে। আর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ মার্চ করোনা সংক্রমণের কারণে জনসমাগম এড়াতে শিল্পকলা একাডেমির সব মিলনায়তন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগের দিন ১৭ মার্চ সর্বশেষ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে সীমিত পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করা হয়।

বন্ধ থাকা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হল, জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন এবং জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন। এর পাশাপাশি শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অবস্থিত কফি হাউজ ও জাতীয় নাট্যশালার ছাদের খাবারের দোকান ‘চিলেকোঠা’ও বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বাংলানিউজকে বলেন, এটা আসলে এককভাবে শিল্পকলা একাডেমির সিদ্ধান্ত না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যখন মনে হবে পরিস্থিতি ঠিক হয়েছে তখন আমরা মিলনায়তন ভাড়া দেবো। সেখানেও শারীরিক দূরত্ব পালন করেই দেওয়া হবে। তবে সে সময়টি এখনও এসেছে বলে আমি মনে করি না।

‘আসলে এখন কোনো অনুষ্ঠান করে লাভও নেই। কারণ আমরা নাটক বা কোনো অনুষ্ঠান তো করবো দর্শকদের জন্য। তারাই যদি না থাকেন তাহলে সে আয়োজন করে তো কোনো লাভ নেই। ’

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনিক কাজও কিন্তু ডিজিটালি করছি। বিশেষ কোনো সভা না হলে আমরা অনলাইনে সভা করছি। অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণও চলছে।

এদিকে এসময় মিলনায়তন বন্ধ থাকলেও শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুকে পেজে এখন জমজমাট নানা আয়োজনে। এখানে প্রতিদিনই ‘আর্ট অ্যাগেনস্ট করোনা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে দিনের বিভিন্ন সময়ে। সেখানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের শিল্পীদের ঘরে ধারণ করা গান, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশিত হচ্ছে।

এপ্রিল ও মে মাস ধরে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুকে পেজে ১৮ জন বরেণ্য শিল্পী-সাহিত্যিকের জীবন ও কর্ম নিয়ে তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়। সেগুলো হলো- ‘আহমদ রফিক: আমার শিল্প ভাবনা’, ‘রফিকুল ইসলাম: আমার শিল্প ভাবনা’, ‘মুস্তাফা মনোয়ার: ‘শিল্প সারথি’, ‘সনজীদা খাতুন: ‘বোধিবক্ষ’, ‘সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ‘সুচিন্তার বাতিঘর’, ‘ফকির নহির শাহ: সহজ মানুষ’, ‘সৈয়দ জাহাঙ্গীর: উল্লাসের ক্যানভাস’, ‘সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী: জাকী’, ‘বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর: যে আলো চিরঞ্জীব’, ‘রফিকুন নবী: জীবনের জলছবি’, ‘মুস্তাফা নূরউল ইসলাম: সময়ের মুখ’, ‘হাসান আজিজুল হক: রাঢ়বঙ্গের রোদ্দুরমানুষ’, ‘কামাল লোহানী: পিতা পাঠ’, ‘সমরজিৎ রায় চৌধুরী: তরুণ আলোর অঞ্জলী’, ‘মুর্তজা বশীর: জীবন ও বিবিধ’, ‘সেলিনা হোসেন: আলোকবর্তিকা’, ‘সৈয়দ হাসান ইমাম : সময়ের বাতিঘর’ এবং ‘আনিসুজ্জামান: বহে নিরবধি’।  
এসব তথ্যচিত্রের উপদেষ্টা ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং তত্ত্বাবধানে ছিলেন একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়া। প্রযোজনা তত্ত্বাবধানে ছিলেন একই বিভাগের সহকারী পরিচালক চাকলাদার মোস্তফা আল মাসউদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।