ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আইসেস্কোর সংস্কৃতিমন্ত্রীদের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
আইসেস্কোর সংস্কৃতিমন্ত্রীদের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন

ঢাকা: ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংগঠন ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার আয়োজনে সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংস্কৃতিমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে বিশেষ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কোভিড-১৯ সংকটের প্রেক্ষিতে টেকসই সাংস্কৃতিক কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

বুধবার (১৭ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ‘জুম’ এর মাধ্যমে তিনি এ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে যুক্ত হন।

আইসেস্কো নির্ধারিত তিন মিনিটের বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সারাবিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকট মোকাবিলা ও এর তাৎক্ষণিক প্রভাব নিরসনে ইতোমধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগের সমতুল্য প্রায় ১২ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একগুচ্ছ (১৯টি) আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যেখান থেকে বেশ কিছু সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রান্তিক শিল্পীদের উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব প্রণোদনা প্যাকেজ ছাড়াও ইতোমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক সংঘ, প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বই ক্রয় করা হয়েছে যা সংস্কৃতি খাতকে জোরদারকরণ ও পুনর্জাগরণে সহায়তা করবে।  

তিরি বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সম্পদ আহরণ এবং সুবিন্যস্ত কর্মকাঠামো তৈরি করা যা এ সংকট বিশেষ করে সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব নিরসনে সহায়তা করবে। লাইভ স্ট্রিমিং পারফরম্যান্স এবং ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলাসমূহ এ সংকটে টিকে থাকবে।

.

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের প্রসারে প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্থাপনা এবং জাদুঘরসমূহে ভার্চ্যুয়াল পরিদর্শন চালুর চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম গুগল আর্ট অ্যান্ড কালচার ব্যবহার করে এসব স্থাপনা ও জাদুঘরসমূহের থ্রি-ডি ডকুমেন্টেশন তৈরি করা যাবে। এসব বাস্তবায়নে প্রথমত আমাদের প্রয়োজন সংস্কৃতি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। দ্বিতীয়ত নতুন প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত চর্চা গ্রহণকে আমাদের স্বাগত জানানো ও সমর্থন করা। তৃতীয়ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি খাতকে টিকিয়ে রাখতে আমরা বিভিন্ন সাহিত্য ও শৈল্পিক সৃজনশীলতা ভিত্তিক কিছু প্রকল্প নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি, সম্ভাব্য অংশীজনদের নিয়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং তৈরি এবং সামর্থ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। ইউনেস্কো ও আইসেস্কো এক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে পারে। আমাদের প্রচেষ্টাকে একীভূতকরণের জন্য আমাদের উচিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংলাপের সূচনা করা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সংকট মোকাবিলা করার মাধ্যমে আমাদের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল খাতকে পুনরুদ্ধারের এখনই উপযুক্ত সময়।

এ বৈঠকে আইসেস্কোর সদস্যভুক্ত ৫৪টি দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রীরা অংশ নেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি ও জ্ঞান উন্নয়ন মন্ত্রী নাওরা আল কাবির সভাপতিত্বে তিন ঘণ্টার এ বিশেষ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন পরিচালনা করেন আইসেস্কোর মহাপরিচালক ড. সেলিম এম আলমালিক।

সম্মেলনে উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসুফ বিন আহমদ আল ওথাইমিন, ইউনেস্কোর সংস্কৃতি বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক আর্নেস্টো অটোনে রেমিরেজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ডিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।