ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কপিরাইট অফিসকে সেবা প্রকাশনীর আইনি নোটিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
কপিরাইট অফিসকে সেবা প্রকাশনীর আইনি নোটিশ ...

ঢাকা: ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের তিন শতাধিক বইয়ের স্বত্ব নিয়ে মামলার রায় বাতিল চেয়ে কপিরাইট অফিসকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সেবা প্রকাশনী।

সোমবার সেবা প্রকাশনীর আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ স্বাক্ষরিত নোটিশ কপিরাইট অফিস গ্রহণ করে।

এ বিষয়ে সেবা প্রকাশনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এর সত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে— 
“গত ২৯ শে জুলাই ২০১৯ তারিখে শেখ আব্দুল হাকিম কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সেবা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে কপিরাইট অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে শেখ আব্দুল হাকিম সেবা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন এবং নিজেকে ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের কিছুসংখ্যক বইয়ের লেখক বলে দাবি করে আইনী প্রতিকার চান এবং রয়্যালটি দাবি করেন।

উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে কপিরাইট অফিস দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক ও বক্তব্য শুনানির পর গত ১৪ জুন, ২০২০ তারিখে মামলার রায় ঘোষণা করেন। উক্ত রায়ে অভিযোগকারী শেখ আব্দুল হাকিম-এর আরোপিত সেবা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনের ৭১ এবং ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে কপিরাইট অফিস রায় দেয় এবং শেখ আব্দুল হাকিমের দাবিকৃত বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সেবা প্রকাশনীকে নির্দেশ দেয়াসহ আরও অন্যান্য আদেশ প্রদান করে।

কপিরাইট অফিসের উক্ত রায় প্রকাশের পর তা নিয়ে বিভিন্ন প্রিণ্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। রায়ের পর সেবা প্রকাশনী পাঠক ও সাংবাদিকের নানাবিধ প্রশ্নের উত্তরে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা সবাইকে জানায়। অতঃপর সেবা প্রকাশনী তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে ২৭ জুলাই, ২০২০ তারিখে কপিরাইট অফিস বরাবর উক্ত ১৪ই জুন ২০২০ তারিখের আদেশ বাতিল চেয়ে আইনী নোটিশ প্রেরণ করে। ”

আইনি নোটিশটিতে সেবা প্রকাশনীর পক্ষে বক্তব্য সম্পর্কে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ জানান যে, “কপিরাইট লঙ্ঘন জনিত যেকোন বিষয়ে অভিযোগ দায়ের, অভিযোগ আমলে গ্রহণ, শুনানি ও বিচার করার এখতিয়ার একমাত্র বিজ্ঞ জেলা জজ বা সেশনস জজ-এর রয়েছে। অভিযোগ সংক্রান্ত কোন বিচার্য বিষয় আমলে গ্রহণ করা বা বিচার করার ক্ষমতা বা অধিক্ষেত্র কপিরাইট রেজিস্ট্রার বা কপিরাইট অফিসকে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কপিরাইট আইনের ৮১ ও ৯২ ধারায় সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে, এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনও অবকাশ নাই। ”

ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ আরও জানান, অভিযোগকারী শেখ আব্দুল হাকিম সেবা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ‘কপিরাইট লঙ্ঘন’ এবং প্রতিকার ও রয়্যালটি দাবি করে যে দরখাস্ত করেছেন, তা কেবল জেলা জজ বা দায়রা আদালতের বিচার্য বিষয়, কপিরাইট অফিসের এখতিয়ারভুক্ত নয়। কপিরাইট অফিস শেখ আব্দুল হাকিম-এর অভিযোগ আমলে গ্রহণ ও বিচারপূর্বক রায় ঘোষণা করে, যা তার এখতিয়ারের বাইরে ও ক্ষমতা বহির্ভূত, যা সুস্পষ্ট ভাবে সীমালঙ্ঘন। কপিরাইট অফিসের এহেন আইনবহির্ভূত আচরণ বিজ্ঞ জেলা জজ বা দায়রা আদালতের একচ্ছত্র অধিক্ষেত্রকে অন্যায়ভাবে দখল করার পাঁয়তারা, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

তিনি আরো জানান, ওই আইনি নোটিশে কপিরাইট অফিসকে ৭ দিনের মধ্যে ১৪ জুন, ২০২০ তারিখের আদেশটি বাতিল পূর্বক প্রত্যাহার করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় সেবা প্রকাশনী মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে এবং সেক্ষেত্রে সমস্ত আইনি খরচ কপিরাইট অফিসকে বহন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
ডিএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।