কবি, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক ফরিদা মজিদ আর নেই। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি কবি গোলাম মোস্তফার নাতনি।
তাঁর স্নেহভাজন কবি সঞ্জীব পুরোহিত জানান, ফরিদা মজিদ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত সপ্তাহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।
ফরিদা মজিদের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৭ জুলাই কলকাতায়। তিনি কবি গোলাম মোস্তফার বড় মেয়ে জোছনার কন্যা। কবি গোলাম মোস্তফার সান্নিধ্যেই তাঁর কবিসত্তা গড়ে ওঠে।
ছেলেবেলাতেই তাঁর লেখালেখি শুরু। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হলেও সারাজীবনে তাঁর একটিমাত্র কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘গাঁদা ফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ শিরোনামের কবিতার বইটি দিয়েই তিনি কবি হিসেবে পরিচিত।
কবি জন অ্যাশবেরি ও অ্যালেন গিন্সবার্গের সঙ্গে প্রাণোচ্ছল ফরিদা মজিদ অ্যাশবেরির মৃত্যু সংবাদের সঙ্গে দ্য গার্ডিয়ান ছবিটি ছেপেছিল। ১৯৭২ সালে লন্ডনে পোয়েট্রি ইন্টারন্যাশনালের কবি সম্মেলনে ছবিটি তোলা হয়।
কবি দীর্ঘকাল প্রবাসজীবন কাটিয়েছেন। প্রথমে লন্ডনে, পরে নিউ ইয়র্কে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি লন্ডনে বসে দেশের বড় বড় কবি-সাহিত্যিকদের লেখা অনুবাদ, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজ করেন।
পরে তিনি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপনা করেন ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংরেজির লেকচারার হিসেবে ছিলেন নিউইয়র্কের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
ঢাকায় তিনি কবি গোলাম মোস্তফার বাড়িতেই একাকী জীবন যাপন করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
নিউজ ডেস্ক