কুমিল্লা: উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার শচীন দেব বর্মণের মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর)।
১৯৭৫ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন শচীনকর্তা।
প্রয়াত এই সুরসৃষ্টার মৃত্যুবার্ষিকীতে কুমিল্লা শহরের দক্ষিণ চর্থায় তার পৈতৃক ভিটায় ২০১৬ সাল থেকে দুই দিনব্যাপী শচীনমেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। তবে করোনার প্রকোপে গত বছর মেলাটি হয়নি। এবারও নানুয়ার দীঘি পাড়ের পূজামণ্ডপকাণ্ডে মেলার আয়োজন করেনি জেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, এবার শচীনমেলা হচ্ছে না। তবে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৭ নভেম্বর একটি আয়োজন করবো আমরা।
১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর চর্থার গোলপুকুরপাড়ে জন্মগ্রহণ করেন শচীনকর্তা। তার পিতা নবদ্বীপ কুমার বর্মণ ছিলেন তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুরের সৎ ভাই ও শিক্ষা-দীক্ষায় চৌকস এক ব্যক্তি। তাই বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর যখন নবদ্বীপ বর্মণকে নিগৃহীত করার চেষ্টা করেন, তিনি রাজবাড়ির কর্মকর্তা কৈলাস সিংহের পরামর্শে কুমিল্লায় এসে বসতি স্থাপন করেন। ওই বাড়িতেই শচীনকর্তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের কিছুকাল অতিবাহিত হয়।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য ভারত সরকার থেকে পদ্মশ্রী উপাধি পেয়েছেন শচীনকর্তা। ‘তুমি এসেছিলে পরশু’, ‘তুমি আর নেই সেই তুমি’, ‘রঙিলা রে’, ‘কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া’, ‘তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’, ‘শোন গো দখিন হাওয়া’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান করেছেন তিনি। তার স্ত্রী মীরা দেব বর্মণ উপমহাদেশের অন্যতম গীতিকার। ছেলে রাহুল দেব বর্মণও সঙ্গীতাঙ্গনে ভিন্নতা এনেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
এনএসআর