ঢাকা: বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করতে সাহিত্য বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন উজান বই আলোচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তারা। এ জন্য তারা অনুবাদ সাহিত্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জ্যাং-গুন।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে ২০২৩ সালে। কোরিয়া আজকে আমাদের তৃতীয় উন্নয়ন সহযোগী। কোরিয়ানরাও ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আমিও চাইব, বাংলা একাডেমি যেন কোরিয়ান সাহিত্যের নানাদিক নিয়ে বাংলায় অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করে। আজকের এই উদ্যোগ একটি উল্লেখযোগ্য সূচনা।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, উজানের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ। এটি বাংলাসাহিত্যকে আরও উজানে নিয়ে যাবে। বাংলা একাডেমি ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে। বাংলা একাডেমি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন অনুবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর মধ্যে একটি ছিল।
আগামীতে কোরিয়ান ও বাংলা সাহিত্যকে এগিয়ে নিতে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানকে সমানভাবে এগিয়ে আনতে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে একটি চুক্তি সম্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি উজান বই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে আয়োজকদের ধন্যবাদ দিই, তারা কোরিয়ান সংস্কৃতিকে বাংলাসাহিত্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ-কোরিয়ার মধ্যে ৪৮ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে কোরিয়া বাংলাদেশে ৫ম বিনিয়োগকারী দেশ। দেড় লাখ বাংলাদেশি কোরিয়ায় কাজ করছেন। বাংলাদেশেও ৩০ হাজার কোরিয়ান বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করছেন। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, সেটিকে আরও জোরদার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাহিত্য বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: উজান বই আলোচনায় পুরস্কার পেলেন যারা
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এসকেবি/এমজেএফ