ঢাকা: সকালে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সন্ধ্যায়ও থামেনি। সেই বৃষ্টি না থামায় যেন একটা শৈল্পিকতা আছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে অনুষ্ঠিত হয় এই একক আবৃত্তির অনুষ্ঠান। এতে কবি ব্রাত্য রাইসুর কবিতা আবৃত্তি করেন মানস চৌধুরী।
কবিতার দৃপ্ত উচ্চারণে ও কণ্ঠের মাধুর্যতায় কবিতার বিষয়গুলো ফুটে ওঠে পরম মমতায়। প্রকৃতি, শহুরে জীবন, আকাঙ্ক্ষা, প্রেম আর দ্রোহ আলাদা ভাষা পায় শিল্পীর কণ্ঠে। প্রতিটি পরিবেশনাতে ছিল মানস চৌধুরীর স্বকীয়তার বহিঃপ্রকাশ।
আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ও কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ। তিনি বলেন, আমরা মনে করি ব্রাত্য রাইসু আমাদের সমকালীন বাংলা কবিতার অনন্য এক কবি। তার কবিতা নিয়ে এমন একটি আয়োজনের ভাবনা হুট করেই মাথায় আসে। মানস চৌধুরী একদিন ফেসবুকে লিখেছিলেন, তিনি ব্রাত্য রাইসুর কবিতা ফেসবুক লাইভে পড়তে চান। তখন আমরা তার কাছে প্রস্তাব রাখি, বাতিঘরে এমন একটি আয়োজন হতে পারে, যেখানে শারীরিক উপস্থিতিতে আমরা আবৃত্তি শুনবো এবং ভার্চ্যুয়াল লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমেও সেটি ফেসবুকে দেখানো হবে। পরে তিনি রাজি হন এবং ব্রাত্য রাইসুকেও আমরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই।
ব্রাত্য রাইসু বলেন, কবিতা নিয়ে এমন আয়োজন আরও নিয়মিত হওয়া উচিত। আমার কবিতা নিয়ে এই আয়োজনটি করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিশ্চয় অন্য কবিদের কবিতা নিয়েও এমন ধারাবাহিক আয়োজন চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা জানান, মাঝে মাঝেই সমকালীন অন্য কবিদের কবিতা নিয়েও এমন আয়োজন চলমান থাকবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বের পর আড্ডার আমেজে একে একে আবৃত্তি করেন মানস চৌধুরী। অনুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন সাহিত্যিক সালাহ উদ্দীন শুভ্র এবং এহসান মাহমুদ।
আয়োজনের শেষে শ্রোতারাও জানান তাদের অনুভূতির কথা। সেখান থেকেই অভিনেতা বন্যা মির্জা বলেন, ব্রাত্য রাইসুর কবিতা আর মানস চৌধুরীর আবৃত্তি মানেই অসাধারণ একটা কম্বিনেশন। এ ধরনের আয়োজন তাই আরও প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি আলতাফ শাহনেওয়াজ, ফাতেমা আবেদীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
এইচএমএস/জেএইচটি