ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মুজিববৰ্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা’ বইমেলা শুরু হচ্ছে বৃহম্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর)।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান-ভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়া; সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, একটি সহনশীল, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ এবং সর্বোপরি জনসাধারণের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা সম্ভব। সময়ে সময়ে দেশব্যাপী এরূপ বইমেলা আয়োজন নতুন নতুন পাঠক সৃষ্টিসহ আলোকিত জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতিমনা, অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক বাংলাদেশের বিনির্মাণও জরুরি। তথ্য-প্রযুক্তির অভাবিত উন্নয়ন-স্রোতে জ্ঞানার্জনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এখন সমানতালে পরিবর্তিত হচ্ছে। কেবল কাগজের পাতায় মুদ্রিত অক্ষরে বই পড়ার মাধ্যমে এখন আর জ্ঞানার্জনের অধিক্ষেত্র সীমাবদ্ধ নেই। সরকারের ক্রমাগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে প্রচলিত মুদ্রিত পুস্তক পাঠের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি পাঠক সমাজের চাহিদা ও প্রয়োজনের নিরিখে ই-বুক পাঠ ও তথ্য আহরণের সুবিধাও সৃষ্টি হচ্ছে যা দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলায় সংযোজিত হবে। সমাজের অবক্ষয় রোধ ও মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী এরূপ বইমেলার প্রয়োজনীয়তা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরে মেলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার জন্য আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এসকেবি/আরআইএস