ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মেরামত শেষে সুলতানের শিল্পকর্ম ফিরলো সংগ্রহশালায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
মেরামত শেষে সুলতানের শিল্পকর্ম ফিরলো সংগ্রহশালায়

নড়াইল: মেরামত শেষে বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি শিল্পকর্ম নড়াইল এস এম সুলতান সংগ্রহশালায় (সুলতান কমপ্লেক্সে) ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
 
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহাবুবা করিম ও শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা হাসানুর রহমান রিয়াজ ছবিগুলো হস্তান্তর করেন।


 
এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম ছবিগুলো গ্রহন করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ছবি তিনটি হলো 'ফসল সংগ্রহ', 'মাছ শিকার’ ও 'জমি তৈরি’।
 
জেলা কালচারাল অফিসার সুলতান কমপ্লেক্সের কিউরেটর হায়দার আলী,জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুণ্ডু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ হানিফসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমের নেতৃতে ৮ সদস্যের একটি টিম নড়াইলে এসে শিল্পীর নষ্ট হয়ে যাওয়া তিনটি ছবি 'জমি কর্ষণ, ধান মাড়াই' এবং 'চর দখল’ সুলতান কমপ্লেক্সে প্রতিস্থাপন করে আরও ৩টি ছবি 'ফসল সংগ্রহ', 'মাছ শিকার ও 'জমি তৈরি’ মেরামতের জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। প্রায় এক বছর পর এ তিনটি ছবি মেরামত করে এনে তা প্রতিস্থাপন করে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।
 
জানা যায়, সুলতান কমপ্লেক্সে শিল্পীর মোট ২২টি ছবি থাকলেও অধিকাংশ ছবি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এগুলো মেরামতের প্রয়োজন পড়ছে। এ পর্যন্ত ৬টি ছবি মেরামত করা হয়েছে এবং সুলতানের সবচেয়ে বৃহৎ এবং বিখ্যাত ৩৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা এবং ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি চওড়া চিত্রকর্ম 'সভ্যতার ক্রমবিকাশ’ ছবিটি বিভিন্ন ধাপে ধাপে মেরামত করা হচ্ছে।
 
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।