ঢাকা: ‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার, ডিজিটাল গ্রন্থাগার’ প্রতিপাদ্যে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পঞ্চমবারের মতো দেশব্যাপী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।
এ সময় গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুবকর সিদ্দিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জনগণকে গ্রন্থাগারমুখী করা, পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি, মননশীল সমাজ গঠনের কেন্দ্রবিন্দু ও জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে লাইব্রেরির ভূমিকাকে দৃঢ় করাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে সরকার কর্তৃক আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং গ্রন্থাগার দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্বের ওপর বিশেষ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় সংস্কৃতি সচিব বলেন, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস বর্তমান সরকারের শিক্ষা সংস্কৃতি ও প্রগতিবান্ধব মননের পরিচয় বহন করে। জাতীয় পর্যায়ে এই দিবস উদযাপনের সুযোগ পেয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান গ্রন্থাগার, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও কর্তৃক পরিচালিত গ্রন্থাগারগুলো তাদের সেবার পরিধি এবং কার্যকারিতাকে বিপুল উৎসাহের সঙ্গে ক্রমশ উচ্চতর পর্যায়ে উন্নত করছে। জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়া, সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূর করা, শিক্ষা সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি, একটি সহনশীল সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ সৃষ্টিসহ জনগণের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে গ্রন্থাগার দিবসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, সভ্যতার পরিক্রমায় মানুষের চর্চিত চিন্তা-চেতনা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মনন, দর্শন গ্রন্থিত থাকে গ্রন্থের অক্ষরের মধ্যে। তাই গ্রন্থের আধার হিসেবে গ্রন্থাগার হচ্ছে একটি জাতির সঠিক আলোর দিশারী। জ্ঞানমনস্ক আলোকিত জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেই শুরু থেকে গ্রন্থাগার এখন আধুনিক রূপে আমাদের সামনে। দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, সরকারি গ্রন্থাগারগুলোতে অনলাইন সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ দেশের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রন্থাগারে এখন বিপুল উন্নতি সাধন হয়েছে। আমরা আশা করি এই গ্রন্থাগারগুলো থেকে যে শিক্ষা আমাদের সন্তানেরা শিখবে, তা জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে সঞ্চারিত করবে। এছাড়া জাতিকে যথার্থ জ্ঞান অর্জন, গবেষণা, দেশজ সংস্কৃতির চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শে অনুপ্রাণিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। এ সময় গ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এইচএমএস/এমআরএ