ঢাকা: একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাট্যজন এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি প্রয়াত আলী যাকেরের স্মৃতি বহমান রাখতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এই উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীর ১০টি বেসরকারি পাঠাগার এবং কয়েকটি জেলার ৫০টি বেসরকারি পাঠাগারকে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত হবে এ উদ্যোগ।
নির্বাচিত গ্রন্থগুলো স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মুহাম্মদ জাফর ইকবাল রচিত ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, কলেজ পর্যায়ে আলী যাকেরের
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘সেই অরুণোদয় থেকে’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক রচিত ‘একাত্তর:
করতলে ছিন্নমাথা’।
বই-পাঠের প্রত্যেকে উক্ত বই সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন লিখে জমা দেবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতি বিভাগে সেরা দশ পাঠক নির্বাচনের জন্য জাতীয়ভাবে গঠিত বিচারকমণ্ডলী পাঠ-প্রতিক্রিয়ার মধ্য থেকে প্রতি বিভাগে সেরা ১০ রচনা নির্বাচিত করবে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পাঠককে সনদ দেওয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, ডা. সারোয়ার আলি ও মফিদুল হক এবং আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগের সমন্নয়ক মো. শাহ নেওয়াজ।
আসাদুজ্জামান নূর তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর শুধু অতিতের সংগ্রহশালা নয়, এটি বর্তমানকেও ধারন করে। যে কোনো জাদুঘর শুধু অতিতের সংগ্রহশালা নয়, এটি একটি জীবন্ত চলমান যাত্রা। এই যাত্রা সফল করতেই আমাদের আজকের এই আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, গ্রন্থপাঠের এ উদ্যোগের ফলে যে সচেতনতা তৈরি হবে, সেই সচেতনতা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা সামজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সামপ্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প ছড়িয়ে যেতে দেখছি, সেটাকে প্রতিহত করা সব দেশবাসীর অবশ্যই কর্তব্য। গ্রন্থপাঠের মধ্যে দিয়ে নতুন প্রজন্মের হৃদয় প্রসারিত হবে, তারা অনেক বেশি মুক্তচিন্তাকে ধারণ করতে পারবে, তার মধ্যে দিয়েই আমরা যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো।
আলি যাকেরের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তার ছেলে ইরেশ যাকের। পাঠাগারের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ বুদ্ধিজীবি পাঠাগারের মাসুদা পারভিন রত্না।
আলোচনা সভা শেষে ৫০টি পাঠাগারের প্রতিনিধিদের কাছে উল্লেখিত বইগুলো হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
আরকেআর/এসএ