সিডনি: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) বলেছেন, আমাদের দেশের অনেক আইনই ব্রিটিশ আমলে বা অনেক আগে প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা এ আইনগুলোর সংস্কার করার চেষ্টা করছি।
অস্ট্রেলিয়া সফরকালে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রোববার (০৮ নভেম্বর) সিডনির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন প্রধান বিচারপতি।
নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কবি ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের পরিচালনায় সাক্ষাত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এলিজা আজাদ টুম্পা।
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে সবাইকে দেশের জন্য আরো বেশি বেশি করে কাজ করতে বলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
তার দীর্ঘ কর্মজীবন, বিচার বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে তার স্বপ্ন এবং তার সময়কালে গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিচার বিভাগের উন্নয়নের জন্য তিনি কী কী কাজ করেছেন সে ব্যাপারেও আলোকপাত করেন।
নিজেকে দেশের সবার প্রধান বিচারপতি দাবি করে এস কে সিনহা বলেন, আমার সমস্ত ভাবনা জুড়ে শুধুই বাংলাদেশ এবং দেশের বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরে সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সমাবেশ ঘটাতে চাই।
বিদ্যমান নানা সমস্যার উল্লেখ করে তিনি জানান, যখনই তার নজরে কোনো সমস্যা আসছে, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
বক্তব্যের শেষে উপস্থিত প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান বিচারপতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোনো রায়ের ব্যাপারে তার কাছে কোনো ফোন আসে না বা কোনো মহল থেকে কোনো চাপ আসে না।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত, সিরাজুল হক, ড. রতন কুমার কুণ্ডু, ড. আখতারুজ্জামান, ড. রোনাল্ড পাত্র, ড. বিপ্লব, মুক্তমঞ্চ পত্রিকার সম্পাদক শামীম নোমান, তানভার আবীর, শুভংকর বিশ্বাস, খায়রুল আলম বাদশা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সবার পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন সিডনির বিশিষ্ট সমাজ সংগঠক আব্দুল কাদির গামা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এএসআর