মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনের অন্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু হবে। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ সিডনির সব বাংলা স্কুলের শিশুদের পারফরম্যান্স, পথ প্রোডাকশন্সের থিয়েটেরিক্যাল ‘আই এম দাই ফাদার’, এন্ড্র কিশোরের কনসার্ট এবং সিডনির প্রবাসী কবি-লেখকদের প্রযোজনায় কবিতা আলেখ্য ‘পরিযায়ী আড্ডা’।
মেলাটি বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া গত ২৫ বছর সফলভাবে আয়োজন করে আসছে। সিডনিতে দু’টি ইভেন্টের জন্য মানুষ সত্যি সত্যিই অপেক্ষা করে। প্রথমত, অলিম্পিক পার্কের বৈশাখী মেলা এবং একুশে একাডেমি আয়োজিত এশফিল্ড পার্কের বইমেলা।
সিডনিবাসীর অনেকেই মনে করে, এই দু’টি ইভেন্টের সঙ্গেই কোনো না কোনোভাবে ‘বৃষ্টিমন্ত্রী’র ঝামেলা রয়েছে। প্রতিবছরই এসময় বৃষ্টি হয় কিংবা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজ অলিম্পিক পার্কে বৈশাখী মেলা, যথারীতি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্ভাবনা ৫ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে কয়েকদিন আগে তাই দেখেছি।
তবে আইফোন, এন্ড্রয়েডে বিভিন্ন রকম অ্যাপ আছে; সেগুলো বিভিন্ন রকম পূর্বাভাস দিচ্ছে। একবার মনে হলো বঙ্গবন্ধু কাউন্সিলকে বলি, ‘আপনারা বৃষ্টিমন্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলাটা মিটিয়ে ফেলুন। তাহলে আপনারাও বাঁচেন, আমরাও বাঁচি...’।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ইনডাকশন সেশনে অংশ নিতে এএনজেড স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। এএনজেড স্টেডিয়ামের একজন কর্ণধার মিস আমান্ডা অনেক বিষয়ে তথ্য দিলেন। উপস্থিত অনেকেই বঙ্গবন্ধু কাউন্সিলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফয়সাল হোসাইনকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ভাই, মেলার দিন বৃষ্টি হবে? ফয়সাল যথাসম্ভব উত্তর দিচ্ছিলেন।
একটু পর একজন প্রবীণ নারী সিডনির বিখ্যাত ফটোগ্রাফার রাসেল আহমেদকে ইংরেজিতে বললেন, ‘বৃষ্টি নিয়ে একদম চিন্তা করবেন না। একটি কাঁসার বাটিতে কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে মাঠের কোনো এক জায়গায় রেখে দিয়ে প্রার্থনা করবেন। গ্যারান্টি, বৃষ্টি হবে না। ’
আমি অন্যায়ভাবেই তাদের কথোপকথন শুনে ফেলেছি। কিন্তু ব্যাপারটি ইন্টারেস্টিং, তাই না? এভাবে যদি বৃষ্টি থামানো যায়, তাহলে তো দারুণ। চলুন, পরীক্ষা করে দেখা যাক।
আমি কিন্তু সত্যি সত্যিই কাঁসার বাটিতে জল রেখে ব্রাহ্মণ দিয়ে প্রার্থনা করাচ্ছি। সুতরাং, নো চিন্তা ডু ফুর্তি...দেখা হবে বেলা ১২টায় মঙ্গল শোভাযাত্রায়, বিকেল চারটায় মঞ্চে পরিযায়ী আড্ডায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৬
এএ