ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তি

অপরাধ দমনে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন হবে বিমানবন্দরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
অপরাধ দমনে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন হবে বিমানবন্দরে

ঢাকা: বিমানবন্দরে যাত্রীদের অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এবং অপরাধ দমনে আধুনিক এডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) প্রতিষ্ঠার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচকের অধীনে এই প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।

সিস্টেম সংস্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পাদন করবে আমিরাত সরকারের পূর্ণ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আমিরাতস টেকনোলজিস সল্যুশনস এলএলসি। এবং সহায়তায় থাকবে বহুজাতিক কোম্পানি সিটা।

চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেবিচকের সদর দপ্তরে দুই দেশের মধ্যে একটি এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং)
সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের পক্ষে আমিরাতস টেকনোলজিস সল্যুশনস এলএলসির নির্বাহী পরিচালক বি এস নাথ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ও আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) মানদণ্ড অনুসারে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে সংযুক্ত হতে যাওয়া সিস্টেমটির প্রধান ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহও এ সিস্টেমের উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবে বলে বেবিচক জানিয়েছে।

সিস্টেমটির সঙ্গে প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড (পিএনআর) এবং ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এপিআইএসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রী ও ক্রুদের পরিচিতিমূলক তথ্যাদি ইলেকট্রনিক, পদ্ধতিতে আগাম ও রিয়েল টাইমে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আসবে। প্রযুক্তিটি প্রাপ্ত যাত্রী-তথ্যাদি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ওয়াচলিস্টের ভিত্তিতে ঝুঁকি বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, এই ঝুঁকি বিশ্লেষণের পরিসর অত্যন্ত ব্যাপক; নাম ও অন্যান্য তথ্যাদির বানানো সম্ভাব্য পার্থক্যগুলোও বিশ্লেষণে বিবেচিত হয়। ফলে, অনাকাঙ্ক্ষিত বা বিপজ্জনক যাত্রীর আগমনের বিপরীতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আগাম প্রস্তুতির সময় পাবে। এমনকি বিদেশের বিমানবন্দরে বোর্ডিংয়ের সময় চিহ্নিত যাত্রীর যাত্রাও বাতিল করতে পারবে। এতে করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম যাত্রার উড্ডয়ন বন্দরে সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

সিস্টেমটি প্রবর্তিত হলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও অপরাধ দমন সহজতর হবে। এছাড়াও, অর্থপাচার, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধেও সিস্টেমটি সহায়ক হবে। সেই সঙ্গে, নিরীহ সাধারণ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ছাড় কার্যক্রম দ্রুত ও সহজতর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল আলহামুদি, বহুজাতিক সংস্থা সিটার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া আমিরাতস টেকনোলজিস সল্যুশনস এলএলসির কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস ও বেবিচকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।