ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য তৎপর জামাল উদ্দিন আহমেদ। পুনরায় চেয়ারম্যান হতে তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লবিং অব্যাহত রেখেছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় বিমানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়। পরিচালনা পর্ষদের নয় সদস্যের মধ্যে পাঁচ জনই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পদাধিকার বলে মনোনীত হন। এর বাইরে চার জনকে মনোনয়ন করা হয় বেসরকারি খাত, পেশাজীবী কিংবা শিক্ষকদের মধ্য থেকে।
বিমানের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সদ্য ভেঙে যাওয়া পর্ষদ থেকে তিন জনের বাদ পড়া অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ এই তিন জনের সঙ্গে জামাল উদ্দিন আহমেদের সখ্য নেই। এর মধ্যে দুই জনের সঙ্গে অতীতে সখ্য থাকলেও বর্তমানে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বাকি একজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বরাবরই খারাপ। তাই নিজের চেয়ারম্যান হওয়ার লবিংয়ের পাশাপাশি এই তিন সদস্যকেও বাদ দিতে জোরালোভাবে কাজ করছেন জামাল।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ২১৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের সাধারণ সভায় লোকসানের তথ্যটি প্রকাশিত হয়। এরপর ওই পর্ষদ বহাল রাখা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ কারণে ভেঙে দেওয়া হয় পরিচালনা পর্ষদ।
প্রতিমাসে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা বিমানের প্রথম বিদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিলের যোগদানের পরও বিমানের এই লোকসানের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সবাই। এ কারণে ওই সভায় পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়তে হয় কেভিনকে।
কেভিন স্টিল গত বছরের মার্চে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যোগদান করেন।
সম্প্রতি কেভিন সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিমান লাভের ধারায় ফিরছে। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এমন দাবি করলেও বিমানের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসানে তার নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শুধু কেভিনই নয়, আরও পাঁচ জন বিদেশিকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিমানে। তাদের পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৪
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর