ঢাকা: ভুয়া বিলের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিমানের সাবেক দুই হিসাব তত্ত্বাবধায়কসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুই মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে অপরাধের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় তদন্ত টিম।
২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় পাঁচটি মামলা করেছিলেন।
যার মধ্যে ১৩ ও ১৫ নম্বর মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এরই মধ্যে ১২ ও ১৪ নম্বর মামলার চার্জশিট আগেই আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন:
বিমানের বেতন শাখার সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (চাকরিচ্যুত) হারুন অর রশীদ, মো. গোলাম মোস্তফা, সাবেক ব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জিন্নাহ, আব্দুল মালেক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদ, ক্যাশ ও ব্যাংকিং শাখার সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক (চাকরিচ্যুত) এম এ এস টি চৌধুরী, সাবেক অ্যাকাউন্টস অফিসার (অবসরপ্রাপ্ত) মীর আজিজুর রহমান ও সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (হিসাব) এম এ রব।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ১৩টি জাল ভাউচারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মোট তিন কোটি ২৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২০ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায় দুদক। এ কারণে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক নয়জনসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক দণ্ডবিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় এই চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক।
এদিকে এই আট কর্মকর্তা ছাড়া মামলাগুলোর অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক ব্যবস্থাপক (হিসাব) এম এ আউয়াল ও ব্যবস্থাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ। মামলাগুলোর তদন্ত করছেন দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ নিজে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪