ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার ফিতা কেটে বিমানবন্দরে নতুন ট্যাক্সিওয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এর ফলে যেকোনো উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে নেমে সহজেই ট্যাক্সি বে-তে চলে যেতে পারবে। এতে করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রানওয়ে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ফলে দ্রুতই আরেকটি উড়োজাহাজের জন্য রানওয়েটি ব্যবহারের উপযোগ্য হবে। এর মাধ্যমে শাহজালাল বিমানবন্দর আধুনিকায়নের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হলো। সোমবার থেকে এয়ারলাইন্সের ব্যবহারের জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে।
রোববার সাউথ ট্যাক্সিওয়ের উদ্বোধন করা হয়। ট্যাক্সিওয়ে রানওয়ে থেকে ৩০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে তৈরি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় মন্ত্রী শাহজালাল বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নতুন বিমান বন্দরের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের কাজ আগামী ৩ মাসের মধ্যে শুরু করা হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
শাহজালালের আধুনিকায়ন কাজের কথা বলতে গিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন বলেন, তিন মাস পরে শুরু করেও ২০১৪ সালের বেধে দেওয়া সময়ের আগেই তা সম্পন্ন হবে আশা করছি। ১২ বছর আগে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর শুরু করা যায়নি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের কাজে হাত দেন।
প্রকল্পের পুরো ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে। এর মধ্যে ৮৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বাকি অর্থ দিচ্ছে ডেনমার্ক। ০.৬ শতাংশ সুদে ১০ বছরের মধ্যে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হান ফুজল এসকায়ার, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৩/আপডেটেড- ১৪২৫ ঘণ্টা।
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর