সিলেট: শীতের এই সময় সিলেট-তামাবিল সড়ক ব্যস্ত থাকে পর্যটকদের পদভারে। গাড়ি ভর্তি দূরদূরান্তের দর্শনার্থীরা ভিড় করেন সড়কটির শেষ মাথা জাফলংয়ে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকাগুলোর মতই পর্যটক হারিয়ে খাঁ খাঁ করছে প্রকৃতিকন্যা জাফলং। বন্ধ হয়ে গেছে পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে ওঠা হোটেল রেস্তোরাঁ। বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এর সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ।
সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে মেতে ওঠে জাফলংয়ের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগে থাকে পর্যটক দর্শনার্থীদের ভিড়।
কিন্তু গত শুক্রবার ছুটির দিন জাফলং ঘুরে সেই প্রাণ চাঞ্চল্যের কোনো চিহ্নই চোখে পড়েনি।
দু’চারজন স্থানীয় লোককে ঘুরতে দেখা গেলেও সেখানে অনুপস্থিত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল ও উচ্ছ্বাস।
সুদৃশ্য পাহাড় চূড়া, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল রাশি আর নানান রঙের নুড়িপাথরের ওপর পর্যটকদের নড়াচড়াও থেমে গেছে। পর্যটক না আসায় জাফলংয়ের আকর্ষণ ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে নেই পর্যটকবাহী নৌকার চলাচল। সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে জাফলংয়ের সর্বত্র।
জাফলং জিরো পয়েন্টের কাছেই রাজিব আহমদের রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টটিতে আগে ছুটির দিনে দুপুর বেলা তিল ধারনের জায়গা থাকতো না। কিন্তু এখন সেখানে কাস্টমার আসে কদাচিৎ।
রাজিব বলেন,‘আগে দিনে কয়েকশ‘ মানুষ আমার হোটেলে খেতেন। গত তিন বছর থেকে এভাবে চলছিলো। কিন্তু এবার মানুষ আসছে না। কখনো সখনো দু’চারজন আসেন। ’
রাজিবের হোটেলের মতই সঙ্কটে পড়েছে জাফলংয়ের পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা।
জাফলং পর্যটন এলাকার পাশের কয়েকটি টিলা দেখাশোনা করেন হাজী মো. জামাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘দিনে কয়েক হাজার মানুষ দেখতাম। কোলাহলে ভরে থাকতো পুরো এলাকা। এখন তেমন দেখছি না। ’ গত কয়েকমাস থেকেই এ অবস্থা চলছে বলে জানান তিনি।
দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবার তাই অন্যান্য পর্যটন স্পটের মতই নীরবতায় ছেয়ে গেছে প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ের রূপ লাবণ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘন্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৪
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর (অ্যাক্ট.)