ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশকে লাভজনক করতে ১০ বছর মেয়াদী ‘বিজনেস প্ল্যান’ তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘নন কনসেশনাল লোন’ সম্পর্কিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠকে বিমানের জন্য কেনা দুটি এয়ারক্রাফটের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংক থেকে বিমান বাংলাদেশের অনুকূলে ২৯ কোটি ডলার ‘নন কনসেশনাল’ ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়।
ক্রমাগত লোকসানের কারণে বিমান বাংলাদেশকে জন্ম থেকেই অপদার্থ প্রতিষ্ঠান আখ্যা দেন অর্থমন্ত্রী।
তবে প্রতিষ্ঠানটি (বিমান) এককভাবে দায়ী নয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরাও রেসপন্সিবল। কারণ আমরা তাদের সেই সামর্থ দেইনি। এখন তাদের কাছ থেকে রাতারাতি মুনাফা প্রত্যাশা করা ঠিক নয়, সময় লাগবে।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি মহল জোর তদবির চালাচ্ছে- বিষয়টি সত্য কি না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, ইট ইজ ট্রু। এটা আমি আন-অফিশিয়ালি শুনেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মিত হবে বলে আবারও জানান মন্ত্রী। তবে কেউ যদি আসতে চায়, তাহলে আসতে পারে বলে জানান মুহিত। সরকার নিজে থেকে কোনো দাতা সংস্থার সন্ধান করছে না বলেও জানান তিনি।
তৃতীয়পক্ষ হিসেবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের দরপত্র মূল্যায়নের জন্য গত অক্টোবরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা এখনো এ বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে তারা আবার এ প্রকল্পে যুক্ত হতে পারে বলে বাইরে এমন একটি কানাঘুষা চলছে।
চলতি অর্থবছরে পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণ শুরু করা সম্ভব হবে না জানালেও আগামী ছয় মাসের মধ্যে নদী শাসনের দরপত্রটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান মুহিত।
এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, পদ্মা সেতুর তহবিল থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতার জন্য চার হাজার কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪