ঢাকা: জামাল উদ্দিন আহমেদ পুনরায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হচ্ছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর বিমানের বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পর থেকে পুনরায় চেয়ারম্যান হতে তদবির করছিলেন জামাল উদ্দিন। আজই (বুধবার) পূর্ণাঙ্গ পর্ষদ গঠন করা হতে পারে। বিগত পরিচালনা পর্ষদের একজন বাদে সবাই বাদ পড়ছেন। অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের পুনরায় পর্ষদে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ তিনি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
পরিচালনা পর্ষদের নয় সদস্যের মধ্যে ৫ জনই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পদাধিকার বলে মনোনীত হন। এর বাইরে চার জনকে মনোনয়ন করা হয় বেসরকারি খাত, পেশাজীবী কিংবা শিক্ষকদের মধ্য থেকে।
বিমানের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সদ্য ভেঙে যাওয়া পর্ষদ থেকে তিনজনের বাদ পড়া অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ এই তিনজনের সঙ্গে জামাল উদ্দিন আহমেদের সখ্যতা নেই। এর মধ্যে দুই জনের সঙ্গে অতীতে সখ্যতা থাকলেও বর্তমানে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বাকি একজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বরাবরই খারাপ।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বিমান ২১৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের সাধারণ সভায় লোকসানের তথ্যটি প্রকাশিত হয়। এরপর ওই পর্ষদ বহাল রাখা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। যে কারণে ভেঙে দেওয়া হয় পরিচালনা পর্ষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৪