ঢাকা: শেষ ফ্লাইটে ৩১৪ আসনের বিপরীতে মাত্র ২২ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো যাত্রাবাহী উড়োজাহাজ ‘ডিসি-১০’। স্বল্পসংখ্যক এই যাত্রী নিয়েই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বার্মিংহামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।
যদিও শেষ ফ্লাইটে যাত্রী পাওয়ার জন্য ‘যারা ইতিহাসের অংশীদার হতে চান তাদের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এনেছে দিয়েছে এক অনন্য সুযোগ’-এ ধরনের প্রচারণা চালিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এমনকি আগ্রহী যাত্রীরা বিমানের ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকেট কিনতে পারেন বলেও মাসপ্যাপী প্রচারণা চালিয়েছিল। তা সত্বেও ঐতিহাসিক এই উড়োজাহাজের শেষ ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ২২ জন।
এমনকি বার্মিংহাম থেকেও ফ্লাইটটি আসবে যাত্রী ছাড়া। কারণ বার্মিংহামে বিমানটি জাদুঘরে রাখার কথা থাকলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি বিমান কর্তৃপক্ষ। তাই ফিরতি পথে কোনো টিকিট বুকিং হয়নি।
অন্যদিকে, ডিসি-১০ দিয়ে বার্মিংহামের আকাশে কয়েকটি আনন্দ ভ্রমনের ব্যবস্থাও করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
অথচ এই ফ্লাইটে ঘণ্টাপ্রতি বিমানের খরচ ১০ হাজার ডলারের ওপরে। এটি শুধু জ্বালানির হিসাব। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ যোগ করলে তা বেড়ে দাঁড়াবে আরো কয়েক হাজার ডলার।
এই ব্যর্থতার বিষয়ে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) আবদুল্লাহর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ডিসি-১০’র এস-২এসিআর উড়োজাহাজটি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের বিমান বহরে যুক্ত হয়। ডিসি-১০’র নির্মাতা কোম্পানি ম্যাগডোনাল ডগলাস এ ধরনের ৪৪৬টি উড়োজাহাজ তৈরি করে। বিমানের উড়োজাহাজটি ছিল ৪৪৫ নম্বর। এরপর ডগলাস আর মাত্র একটি ডিসি-১০ তৈরি করে।
১৯৭১ লসএঞ্জেলেস ও শিকাগোর মধ্যে ফ্লাইটের মাধ্যমে ডিসি-১০ যাত্রা শুরু হয়। এরপর সারাবিশ্বে ডিসি-১০ নির্ভরযোগ্য একটি উড়োজাহাজে পরিণত হয়।
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ বিমান বহরে প্রথম যুক্ত হয় ডিসি-১০। এরপর একে একে বিমানের বহরে আরো ৫টি ডিসি-১০ যুক্ত হয়। যার মধ্যে ডিসি-১০’র এস-২এসিআর উড়োজাহাজটি যোগ হয় ১৯৮৯ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪