ঢাকাঃ বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতুর এ বৈচিত্র্যে বিমোচিত হয়ে পর্যটকরা এদেশ ভ্রমণে আসেন।
আর এই ঋতুরাজের বিষয় বৈচিত্র্য এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে আয়োজন করা হয় বসন্ত উৎসব ১৪২০ এর।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে। ইয়ুথ ক্লাব মাঠে আয়োজিত এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমার কলেজ জীবনে এই বসন্ত উৎসব পালনের জন্য লড়াই করতে হয়েছিল। আইয়ুব খানের শাসনামলে কলেজে পড়ার সময় পাকিস্তানি সরকারকে বোঝাতে হয়েছে এটি মুসলমানদের অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, এটি শুধু বসন্তই নয়, এটি ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস। আজ দেশ স্বাধীন না হলে এই ধরনের অনুষ্ঠান পালন করতে পারতাম না। তিনি সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চান বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে পর্যটন বিকাশে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পহেলা বৈশাখের মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। পর্যটনকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর নয় হাতের কাছে সুন্দরবন, কক্সবাজার দেখতে যেতে হবে।
তিনি আগামী বছর পর্যটন বর্ষ পালন করা ঘোষণা করার কথা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মাকসুদুল হাসান খান ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশ করেন রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মিতা হক, নজরুলগীতি পরিবেশন করেন ড. সোহানা আহমেদ। এছাড়া এতে আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। ‘ফাগুনেরও মোহনায়’ এই গানের সঙ্গে সঙ্গে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের এক ঝাঁক শিশু নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘন্টা, মার্চ ২৪, ২০১৪