ঢাকা: এয়ারলাইন্সের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কাছে পাওনা অর্থের এক কোটি টাকা দিয়ে পুনরায় এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেশন (এওসি) পেল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
বেবিচক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ বাবদ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচক ৫৭ কোটি ৬১ লাখ ৯১ হাজার কোটি ২৪৯ টাকা পেত। বিগত প্রায় ১০ মাস ধরে ইউনাইটেড এই পাওনার কোনো অর্থই পরিশোধ করছিল না।
এ অবস্থায় বেবিচকের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) উইং কমান্ডার নাজমুল আনাম বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, পাওনা পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে ইউনাইটেডের ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি (এওসি) নবায়ন স্থগিত করা হবে।
বেবিচকের নিয়মানুযায়ী প্রতি বছর একটি এয়ারলাইন্সকে এওসি নবায়ন করতে হয়। নতুবা ওই এয়ারলাইন্স আর ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই পাওনা পরিশোধে বেবিচক ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে বারবার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তারা কোনো কিছুকেই আমলে নিচ্ছিল না। এ অবস্থায় রোববার এক সভা ডাকে বেবিচক। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। সভায় পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে ইউনাইটেডকে কড়া হুঁশিয়ারি করা হয়। যদি অর্থ না পরিশোধ করে তা তাদের ফ্লাইট চালানোর অনুমতি স্থগিত করার হুমকি দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেডকে চেকের মাধ্যমে এক কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। মে মাসের মধ্যে দুই কোটি টাকা এবং ২৯ জুনের মধ্যে আরো দুই কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
২৯ জুনের পরে আরেকটি বৈঠক ডাকবে বেবিচক। ওই বৈঠকে বাকি অর্থ কিভাবে আদায় করা হবে তা নির্ধারণ করবে এয়ারলাইন্সের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেবিচক।
ফ্লাইট বিলম্ব, একের পর এক রুট চালু করে পুনরায় তা বন্ধ করে দেওয়াসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ইউনাইটে এয়ারওয়েজের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। এ অবস্থায় সম্প্রতি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বেবিচকের কাছে পাওনা ৫৮ কোটি টাকার ২৮ কোটি টাকা মওকুফের আবেদন করে অর্থমন্ত্রীর কাছে।
তবে শেষ পর্যন্ত এই পাওনা না দিয়ে রেহাই পেল না এই বেসরকারি এয়ারলাইন্সটি।
এ বিষয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পিআর) কামরুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অর্থ পরিশোধ করবো। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা রোববারই এক কোটি টাকা পরিশোধ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৩