ঢাকা: এয়ারবাস মেরামতে টেন্ডার ইস্যুর মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাত ও ক্ষতি সাধন মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- বিমানের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক রাজপতি সরকার, সাবেক পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) মোঃ আজিজুল্লাহ, পরিচালক (অপারেশন) ক্যাপ্টেন কামাল সাঈদ, ডিসি ১০৩০ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন জামিল, একই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন শামীম আহমেদ এবং পিএলজিএসসিএইচ এস.এম. লিয়াকত হোসেন।
তবে একই অভিযোগের জন্য ডিসি-১০৩০ এর ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান এবং ফার্স্ট অফিসার নাসিম আউয়ালকে তলব করা হলেও তারা আসেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নাসিম আউয়ালকে কুয়েত বদলি করার ফলে তিনি আসতে পারেননি। আব্দুল মান্নান সপরিবারে বিদেশ চলে যাওয়ায় হাজির হননি। গত ২৮ এপ্রিল তাদের তলব করে চিঠি পাঠানো হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১১ সালের নভেম্বরে একটি এয়ারবাস মেরামত সংক্রান্ত টেন্ডার ইস্যু করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। টেন্ডারটি পায় সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং’।
টেন্ডার পাওয়ার পর কোম্পানি বলেছিলো ১শ’ কোটি টাকার মধ্যে তারা কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পর তারা জানান যে, এয়ারবাস মেরামতে তাদের খরচ হয়েছে ২শ’ কোটি টাকা। ১শ’ কোটি টাকার কাজ করে ২শ’ কোটি টাকার বিল করে পুরো এক শ’ কোটি টাকাই আত্মসাত করার অভিযোগ আসে উপরোক্ত বিমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছরে সিমুলেট বৈদেশিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্লট বুকিং দেয়া সত্ত্বেও তারা প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। এর ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ২৪ লাখ ১০ হাজার ৯৭৮ টাকার ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৪