ঢাকা: কক্সবাজার বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এটিআর ৭২ উড়োজাহাজ রানওয়েতে পড়ে রয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এটিআর ৭২ বিমানবন্দরের অবতরণের পর এর সামনের নোজ হুইল ভেঙে বন্ধ হয়ে যায় রানওয়ে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে মাত্র একটি রানওয়ে থাকায় এ দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরে আর কোনো উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারেনি।
বেবিচক জানায়, দুর্ঘটনার পর এখনো কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজটি সরাতে পারেনি। কারণ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের প্রকৌশলী ও বেবিচকের পরিদর্শক ছাড়া এটি সরানো সম্ভব নয়।
ঢাকা থেকে বিকেল ৪টার দিকে উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন মামুন ও ফার্স্ট অফিসার নাজিম কক্সবাজার বিমানবন্দরের অবতরণের পর রানওয়ের শেষ মাথায় এসে ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বাক নেওয়ার সময়ই সামনের নোজ হুইল ভেঙে উড়োজাহাজের বডির ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর ক্যাপ্টেন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এতে যাত্রীরা কেউ হতাহত না হলেও উড়োজাহাজটিকে আর সরানো সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টায় বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঢাকা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের প্রকৌশলী ও বেবিচকের পরিদর্শকরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এটি সরানো হবে।
তবে বেবিচকের একটি সূত্র বলছে, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে উড়োজাহাজটি সরানো সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে সারাদিনও লেগে যেতে পারে।
অবশ্য দূর্ঘটনার পর ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এটিআর’র নোজ হুইল ভাঙেনি। আর দুর্ঘটনাটি রানওয়েতে নয়, ট্যাক্সিওয়েতে যাওয়ার পথে ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪