ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বলাকায় বিমান কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪
বলাকায় বিমান কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টফোর.কম

ঢাকা: সংস্থার অর্গানোগ্রাম প্রবর্তন, ইউনিফর্ম ভাতা চালুসহ ১৪ দফা দাবিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি বুধবারের মতো শেষ হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় ‘বলাকা’ ভবনে সকাল ৯টায় থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিমানের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা সকাল ৯টার আগেই বলাকা ভবনে জড়ো হন।

এরপর একত্রিত হয়ে বলাকা ভবনের গেটে অবস্থান নিয়ে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বেসরকারি খাতে দেওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

এ সময় বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কোনো কর্মকর্তাকেও বলাকায় প্রবেশ করতে দেননি আন্দোলনরতরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলাকা ভবন প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  

বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমানের নেতৃত্বে গত ২৫ জুন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছে এয়ারলাইন্সের কর্মীরা।    

একই দাবিতে মঙ্গলবার ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বিমানের কর্মীরা।

এর আগে আন্দোলনকারীরা বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসাদ্দেক আহমেদের কার্যালয় ঘেরাও করেন।
biman1
কর্মীদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে, শতভাগ মেডিকেল ভাতা প্রদান, ক্যাজুয়ালদের চাকরি স্থায়ী করা, কার্য আহার ভাতা বৃদ্ধি, পার্সোনাল পে বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করা, বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) কর্মীদেরও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সমান সুবিধা প্রদান।

একই সঙ্গে সরকারের ঘোষিত সময়েই মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।

বিমানের কর্মীদের দাবি অনুযায়ী সরকারের ঘোষণার চার মাস পর বিমান মহার্ঘ ভাতা চালু করে। তাই পেছনের চার মাস ভাতা প্রদান করতে হবে।     
  
বিমানের কর্মীরা গত বছরের জানুয়ারিতে ইউনিফর্ম ভাতা চালু, আহার ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন  দাবিতে আন্দোলন করেছিল।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

দাবি বাস্তবায়নে কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটের মতো কঠোর আন্দোলনেও যান কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীদের থামাতে তৎকালীন বিমান মন্ত্রী ফারুক খান ওই সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।  

ওই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি শর্ত সাপেক্ষে এসব দাবির কয়েকটি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ।

তবে বিনিময়ে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার বিরোধিতা করা যাবে না। ওই শর্তে রাজি না হওয়ায় বিমান কর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।   

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।