কলকাতা: আন্তর্জাতিক হচ্ছে বাঙালির রান্না। বিশ্বায়নের বাজারে বিদেশি বিমানের যাত্রীদের রসনায় নিজের স্থানটি পাকাপোক্ত করে তুলেছে পোস্তর বড়া, মালাইকারী কিংবা পাতুরি।
বাংলার হেঁসেল অনেক আগেই ইউরোপ-আমেরিকার বুকে তার চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। ষোল আনা বাঙালি রান্নার স্বাদ নিতে সেখানকার নাগরিকেরা ভিড় জমান বাঙালি রেঁস্তরাগুলোতো।
এবার বাঙালি রান্নার ছোঁয়া গিয়ে পড়ল আরব সাগরের পারে। কলকাতা থেকে উড়াল দেওয়া এমিরেটস বিমান সংস্থা মাঝ আকাশে যাত্রীদের পরিবেশন করছে সর্ষে ইলিশের মতো খাঁটি বাঙালি রান্না।
আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইনস। তারা ডাল, মাছ, ভাতের সঙ্গে হাজির করেছেন বাঙালির নিজস্ব চচ্চড়ি। সিল্ক এয়ার ওয়েজের মেনুতে আছে পোস্তর বড়া। এছাড়াও বিভিন্ন বিমান সংস্থা চিংড়ির মালাইকারী, ভেটকির পাতুরিসহ নিখাদ বাঙালি খাবার রাখতে শুরু করেছে তাদের মেনুতে।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের পছন্দের খাবারটি পেতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে জানিয়ে রাখতে হচ্ছে।
সাউথ আফ্রিকান এয়ারলাইন্স, লুফৎহানসা, সুইস এয়ারের মতো বিমান সংস্থাও তাদের খাবারের মেনুতে বাঙালি খাবার রাখতে শুরু করেছে।
সম্ভবত বাঙালিদের বিদেশ-বিভূঁইয়ে গিয়েও শুক্তো, ডাল চচ্চড়ি খাবার যে প্রবণতা আছে, সেদিকে নজর রেখেই সম্ভবত বিদেশি বিমান সংস্থাদের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ভেটকি মাছের পাতুরির জায়গায় স্যামন মাছকে কখনও মেনে নিতে হতে পারে বলে জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ মহল। আর তাতে সম্ভবত খুব একটা আপত্তি থাকবে না ভোজন রসিক বাঙালির।
বিশ্বায়নের ফলে বার্গার-স্যান্ডউইচের ভিড়ে বাঙালি খাবারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। তাদের কাছে বাঙালি খাবারের এই বিশ্বজয়ের খবর যে খুবই আশার কথা, সেটা বলাই বাহুল্য।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৪