ঢাকা: কলকাতার আকাশে বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউনাইটেড ও সৌদি এয়াবিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের মুখোমুখি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সটি।
সোমবার কলকাতা আকাশপথ দিয়ে মাস্কাট থেকে ঢাকা আসার পথে অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় এই দুটি এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজ।
সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। মূলত ব্ল্যাকবক্সে রক্ষিত ভারতীয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথোপকথন পরীক্ষা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে এ ঘটনায় কার দোষ ছিল।
অবশ্য ইউনাইটেডে এয়ারওয়েজের এমডি ৮৩ মডেলের উড়োজাহাজের বৈমানিক ক্যাপ্টেন আরিফুল ইসলামের তথ্য অনুযায়ী তার কোনো ভুল ছিল না। কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের নির্দেশ মতো তিনি এক হাজার ফিট নিচে নেমে আসতে গেলেই মুখোমুখি চলে আসে দুটি উড়োজাহাজ।
দুটি উড়োজাহাজ মুখোমুখি চলে এলে টিকাস (ট্রাফিক কলিশন অ্যাভয়ড্যান্স সিস্টেম) যন্ত্র থেকে সংকেত দেয়। সাধারণত ৩৫ সেকেন্ড আগে এই সংকেত টিকাস। ইউনাইটেডের উড়োজাহাজে এ সময় ১৪৮ জন যাত্রী ছিল।
এ বিষয়ে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে এ ঘটনায় কে দোষী আর কে নির্দোষ।
ইউনাইটেডের ঢাকাগামী উড়োজাহাজটি ৩৩ হাজার ফিট দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে বাংলাদেশের ইউনাইটেড এয়ারের বৈমানিককে ৩২ হাজার ফিট নিচে নেমে আসতে বলা হয়। কিন্তু ৩২ হাজার ফিট দিয়ে উড়ছিল সৌদি এয়ারের একটি উড়োজাহাজ। এ সময় ইউনাইটেড এয়ারের উড়োজাহাজের টিকাস যন্ত্র থেকে সংকেত দেয়।
সাধারণত দুটি উড়োজাহাজ মুখোমুখি চলে এলে টিকাস যন্ত্র ৩৫ সেকেন্ড আগে এই সংকেত দিয়ে থাকে। টিকাসের সংকেত পাওয়ার পর বৈমানিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবারও ৩৩ হাজার ফিট উপরে চলে যান। ওই সময় ২৯ হাজার ফিট উপর দিয়ে যাচ্ছিল এমিরেটস এয়ারের একটি উড়োজাহাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪