ঢাকা: আবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে যাচ্ছিল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। তবে, পাইলটের দক্ষতায় বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন ওই উড়োজাহাজের যাত্রীরা।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে জাপানের টোকিওগামী ওই উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের এক ঘণ্টার মধ্যেই ছেড়ে আসা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।
মালয়েশিয়ান বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (ডিসিএ) প্রধান জানান, উড়োজাহাজটির ‘কেবিন প্রেসারে সমস্যা দেখা দেওয়ায়’ ছেড়ে আসা বন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হন পাইলট।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, উড়োজাহাজটির ‘কেবিন প্রেসার ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না’ বিধায় ছেড়ে আসা বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।
ডিসিএ’র মহাপরিচালক আজহারুদ্দিন আবদুল রহমান বলেন, ‘প্রেসার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব’ হয়ে উঠছিল বলে যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে ছেড়ে আসা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে উড়োজাহাজটি।
‘এটা বড় কোনো সমস্যা ছিল না’ বলেও দাবি করেন তিনি।
এই প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডিসিএ’র পক্ষ থেকে ‘কেবিন প্রেসারে সমস্যার’ কথা বলা হলেও মাত্র ৫০ মিনিটের মাথায় ছেড়ে আসা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করায় বড় কোনো দুর্ঘটনাই এড়ানো গেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
মালয়েশীয় একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, উড্ডয়নের পর প্রায় ৫০ মিনিটে আকাশে ছিল উড়োজাহাজটি। জরুরি ভিত্তিতে ছেড়ে আসা কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে অবতরণের পর ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের আরেকটি ফ্লাইটে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের সেবা একসময় অনেক বেশি প্রশংসিত থাকলেও গত ছয় মাসের মধ্যে বড় দু’টি ট্র্যাজেডি এ এয়ারলাইন কোম্পানিকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
গত ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী এমএইচ৩৭০ উড়োজাহাজটি নিখোঁজের পর ১৭ জুলাই আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এমএইচ১৭ উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়। দু’টি ট্র্যাজেডিতেই ৫৩৭ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪