ঢাকা: উড়ান বন্ধের কারণে চারটি দেশে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এক হাজারের বেশি যাত্রী আটকা পড়েছেন।
এসব যাত্রী সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে বিমানবন্দরে দিন কাটাচ্ছেন।
বর্তমানে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে ঢাকা-মাস্কাট, ঢাকা-দোহা, ঢাকা-জেদ্দা ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সব কয়টি গন্তব্যে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অর্থ সংকটের কারণে জ্বালানি কিনতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সোমবার ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর পদত্যাগের জের ধরে এয়ারলাইন্সে চরম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক ক্যাপ্টেন এম ইলিয়াস বাংলানিউজকে বলেন, এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না, এমনকি আমরাও তাদের যোগাযোগ করে পাচ্ছি না। তাই এসব যাত্রীর জন্য আমরা কিছুই করতে পারছি না। কারণ ফ্লাইট নিয়ে যাওয়ার মতো তেল কেনার অর্থ আমাদের কাছে নেই। ’
আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-সৈয়দপুর-রাজশাহী রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স।
বৃহস্পতিবার সব উড়ান বন্ধ হয়ে গেলেও তার আগে বুধবার থেকেই ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দেয়। এ কারণে বুধবার থেকেই বিমানবন্দরে ইউনাইটেডের যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় কর্মীরা যাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন। যাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে কর্মকর্তাদের অনেকেই বিমানবন্দর থেকে পালিয়েছেন।
এরপর গত বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরায় এয়ারওয়েজের প্রধান কার্যালয়ে জরুরিভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এয়ারওয়েজ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার থেকে সব ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেন।
সোমবার নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান মাহতাবুর রহমান। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া শাহীনুর আলম এখনো কাজে যোগ দেননি। এ কারণে এয়ারওয়েজের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সব কর্মীর মধ্যে আরো বেশি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
** সকাল থেকে উড়াল বন্ধ ইউনাইটেডের
** ইউনাইটেড কাউন্টারের মোবাইল নম্বরও বন্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪