ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

এভারেস্টের পথে সজল খালেদের স্মৃতিস্তম্ভ

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৪
এভারেস্টের পথে সজল খালেদের স্মৃতিস্তম্ভ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কাঠমাণ্ডু থেকে: কাঠমাণ্ডু থেকে এভারেস্ট যাওয়ার পথে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য নির্ধারিত স্থানটির নাম দুবলা। সমতল থেকে এর উচ্চতা ১৫ হাজার ৭০০ ফুট।

এভারেস্টে গিয়ে যারা প্রাণ হারান তাদের নামে একটি করে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের সুযোগ আছে এখানে।

সেখানে এভারেস্ট জয়ী ব্রিটিশ নাগরিক স্কট ফিসারের স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই স্থাপন করা হলো বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী সজল খালেদের স্মৃতিস্তম্ভ।

আর মহতি এ কাজটি করলো বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব।

বুধবার ক্লাবের পক্ষ থেকে এ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেন এভারেস্ট জয়ী এমএ মুহিত, নিশাত মজুমদার, সাদিয়া সুলতানা, কাজী বাহলুল মজনু, মো. মহিউদ্দিন ও শামীম তালুকদার। স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন শেষে তারা সমতলে ফিরে আসেন।

এভারেস্ট জয়ী এমএ মুহিত বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ওই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্যরা নেপালে মাউন্ট কেয়াজো-রি জয় করতে এবং সজল খালের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্দেশ্যে নেপাল যান।

তবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এ দলটি মাউন্ট কেয়াজো-রি জয় করতে পারেনি। যাত্রা পথে ২ হাজার ফুট উপরে উঠে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সমতলে ফিরে এসেছে।

এমএ মুহিত বলেন, আমার সঙ্গে আসা সবাই বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য। সজল খালেদও এ ক্লাবের সদস্য ছিলেন। তিনি মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু তার মরদেহ আমরা পাইনি। তাই এ বীরের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এবং ভবিষ্যত পর্বত আরোহীদের কাছে তার নাম পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নেপালে সজল খালেদের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত।

সজল খালেদের স্মৃতিস্তম্ভের জন্য পাথরের একটি স্মারক বাংলাদেশ থেকে তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা।

সজল খালেদ ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল কাঠমাণ্ডু থেকে যাত্রা শুরু করে ২০ মে বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সকাল ১০টায় এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। প্রায় ৪০ মিনিট এভারেস্টে অবস্থান শেষে সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১ টার দিকে অবতরণ শুরু করেন এবং আকস্মিক দুর্ঘটনায় নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩  ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।