ঢাকা: তিন বছর আগে এমিরেটস্ ফ্লাইটে ওয়াই-ফাই সুবিধা চালুর পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি লোক ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করেছেন। এ চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
যাত্রীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ফ্লাইটে ওয়াই-ফাই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য প্রতি বছর ২ কোটি মার্কিন ডলারের অধিক ব্যয় করছে এয়ারলাইনটি। বর্তমানে এ সুবিধা এমিরেটস্ এর সকল এয়ারবাস এ-৩৮০, যার সংখ্যা বর্তমানে ৫৩টি এবং ২৮টি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে পাওয়া যাচ্ছে।
ওয়াই-ফাই সুবিধাসম্পন্ন এ উড়োজাহাজগুলো বিশ্বের ৬টি মহাদেশেই যাতায়াত করছে। অন্য উড়োজাহাজগুলোতেও এ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে এমিরেটস্। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এয়ারলাইনটি উচ্চমূল্য ডাটার ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান বা মূল্য রেয়াত দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে এমিরেটস্ এর প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক জানান, ‘আমরা ওয়াই-ফাইকে একটি সেবা ও এমিরেটস্ পণ্যের একটি ভ্যালু এডিশন হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের জন্য এটা কোনো রাজস্ব আয়ের পন্থা নয়। ’
ভবিষ্যতে এ সেবাটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন টিম ক্লার্ক। তিনি জানান, এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এয়ারলাইনটি।
ওয়াই-ফাই সুবিধাযুক্ত এমিরেটস্ উড়োজাহাজগুলোর যাত্রীরা প্রথম ১০ এমবি বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টগুলো ভিজিট করার জন্য যথেষ্ট। পরবর্তী ৬০০ এমবির জন্য নামমাত্র ১ মার্কিন ডলার দিতে হয়।
এমিরেটস্ এর তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইট চলাকালীন যাত্রীরা যে সকল সাইটে বেশি ব্রাউজ করেন এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুগল, ফেসবুক, স্কাইপে, হোয়াটসঅ্যাপ ও বিবিএম।
এমিরেটস্ যাত্রীরা ইতোমধ্যে আসনের সঙ্গে সংযুক্ত এসএমএস, ইমেইল ও মোবাইল ফোন সেবা পাচ্ছেন। এয়ারলাইনটি বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে স্থাপিত নিজস্ব ৩৬টি লাউঞ্জে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সেবা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৪