ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিতর্কিত বৈমানিক ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের বৈমানিকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি এই পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিমান কর্তৃপক্ষ এখনো তা গ্রহণ করেনি।
শামীম নজরুল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলানিউজের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শামীম নজরুলকে জড়িয়ে বিমানের স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিমান তার পক্ষ হয়ে কোনো অবস্থান না নেওয়াতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার তিনি বিমানের ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক ক্যাপ্টেন দিলদার আহমেদ তোফায়েলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমান কর্তৃপক্ষ এখনো তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। যে কারণে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরও শামীম নজরুল অফিস করছেন।
শামীম নজরুল বাংলানিউজকে বলেন, বিমানের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। সম্প্রতি বিমান হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে যে ১৮৫ কোটি টাকা লাভ করেছে সেখানেও তার অবদান রয়েছে। ৪৫ জন বৈমানিক ছাড়া হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি ৩০ জন বৈমানিক নিয়ে সফলভাবে হজের সব ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সফল হয়েছি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বিমানের আরেক বিতর্কিত ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ সংস্থার ফ্লাইট অপারেশন পরিচালকের(ডিএফও) পদ থেকে বিদায় নেন।
বিমানের উড়োজাহাজ লিজ, বৈমানিকদের ট্রেনিংসহ নানা কাজে তার হস্তক্ষেপের কারণে বিতর্কিত শামীম নজরুল। তার এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিমান শ্রমিকদের হাতে তিনি শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৪