ঢাকা: আইএসও ৯০০১:২০০৮ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
শনিবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনা, নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে দেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র এয়ারলাইন্স হিসাবে এই সনদ পায় তারা।
গত ১৭ জুলাই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করে বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৪টি, ঢাকা-যশোর রুটে একটি, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি, ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে একটি, ঢাকা-সিলেট রুটে একটি ফ্লাইটসহ সর্বমোট ১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ইউএস বাংলা গ্রুপের মালিকানাধীন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ। প্রতিটি উড়োজাহাজে আসন সংখ্যা ৭৬টি, এর মধ্যে ৬টি বিজনেস ক্লাস।
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এয়ারলাইন্সটির বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও দুটি ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ ও ২টি বোয়িং ৭৩৮-৮০০ উড়োজাহাজ।
ইউএস বাংলাই প্রথম ৭৬ আসনের ড্যাশ উড়োজাহাজ এনেছে। এর মধ্যে ৬টি বিজনেস ক্লাসের আসনও রয়েছে। দেশে এর আগে অন্য অপারেটরেরা ড্যাশ ৮ কিউ ৩০০ এর পুরাতন মডেল ব্যবহার করছেন। ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটির দুটি দরজা, কার্গো স্পেস বেশি। পুরাতন মডেলের উড়োজাহাজটিতে আসন সংখ্যা ৪৯টি, ব্লেড সংখ্যা ৫টি আর কিউ-৪০০ এর তা ৬টি। ব্লেড সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটি খুব দ্রুত বেশি উচ্চতায় উঠে যেতে পারে। এর ফলে যাত্রীরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কম ঝাঁকি অনুভব করবেন। উড়োজাহাজগুলোতে এপিইউ (অক্সুলারি পাওয়ার ইউনিট) থাকায় বাইরের অধিক তাপমাত্রায়ও উড়োজাহাজের কেবিন শীতল থাকবে। নয়েজ এবং ভাইব্রেশন সার্পেশন সিস্টেম থাকার কারণে যাত্রীরা কেবিনে কম শব্দ অনুভব করবেন।
যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এয়ারলাইন্সটি যশোর থেকে খুলনার যাত্রীদের জন্য আধুনিক ৪২টি আসনের বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড় এবং আগ্রাবাদ থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরেও যাত্রীদের পরিবহনের জন্য বাস সার্ভিস রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪