ঢাকা: বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক সুপরিসর উড়োজাহাজের বহর নিয়ে ২০১৪ সাল শেষ করতে যাচ্ছে দুবাইভিত্তিক এমিরেটস্ এয়ারলাইন্স। এয়ারলাইন্সটির বহরে বর্তমানে সুপরিসর যাত্রীবাহী ও কার্গো উড়োজাহাজের সংখ্যা যথাক্রমে ২১৮টি ও ১৪টি।
উপর্যুপরি গত দুই বছর রেকর্ড সংখ্যক উড়োজাহাজের ডেলিভারি গ্রহণ করেছে এয়ারলাইন্সটি। ২০১৪ সালে ২৭টি নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে এমিরেটস্ বহরে; যার মধ্যে ১৩টি ছিল এয়ারবাস এ৩৮০ ও ১২টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর। ৫০ তম এ৩৮০ উড়োজাহাজটিও যুক্ত হয়েছে চলতি বছরে।
অত্যাধুনিক এ উড়োজাহাজগুলো পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব কমাতে ও ফ্লাইটে আধুনিক সব সুবিধা নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে।
২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এমিরেটস্ ৪ কোটি ৫০ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে। প্রতি সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে গড়ে ৩,৫১৬টি।
এ সময়ে ২১ লাখ টন মালামালও পরিবহন করেছে এমিরেটস্। পরিচালিত ফ্লাইটগুলোতে ৪ কোটি ৭০ লাখের বেশিবার খাবার পরিবহন করা হয়েছে।
চলতি বছর এমিরেটসের উড়োজাহাজগুলো উড্ডয়ন করেছে ৭৫ কোটি ৬০ লাখ কিলোমিটার, যা পুরো পৃথিবীকে ১৮,৫৫২ বার পরিভ্রমণ করার সমতুল্য।
গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় এমিরেটস্ এ বছর ৮টি নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করেছে এবং ২০টি গন্তব্যে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।
এয়ারলাইনের মালামাল পরিবহন শাখা- এমিরেটস্ স্কাই কার্গোর জন্য বছরটি ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গত মে মাসে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ফ্রেইটার অপারেশন্স দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রার (ডিডব্লিউসি) এর আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয়। নতুন বিমানবন্দরটিতে সর্বাধুনিক সুবিধা সংবলিত কার্গো টার্মিনাল গ্রাহকদের অধিকতর সেবা ও সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম।
ইনফ্লাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা এমিরেটস্ সবসময় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতি বছর দুই কোটির বেশি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয় এ সেবাটির জন্য। বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির ৮০টি উড়োজাহাজে ওয়াই-ফাই সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সব উড়োজাহাজে এ সেবা সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে এয়ারলাইন্সটি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এমিরেটস্ বর্তমানে সফটওয়্যার উন্নয়ন করছে যাতে সব যাত্রীরা বিনামূল্যে আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই সুবিধা পেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪