ঢাকা: পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন বা আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড উড়োজাহাজ বা খেলনা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করতে হলে বেসামরিক বিমান বাহিনীর অনুমতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশসীমায় বিভিন্ন ধরনের ড্রোন, রিমোট কন্ট্রোলচালিত হাল্কা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করছে। এ ধরনের উড্ডয়ন অনুমোদিত দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং সামরিক বিমানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ধরনের উড্ডয়নের জন্য বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষার অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ ধরনের উড্ডয়ন সংক্রান্ত উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং যথাযথ উৎসাহ দিয়ে থাকে।
তবে ইদানীং পরিলক্ষিত হচ্ছে, এ ধরনের পরীক্ষামূলক ড্রোন বা রিমোর্ট কন্ট্রোলচালিত প্লেন বা হেলিকপ্টার উড্ডয়ন-সক্ষমতা নিরীক্ষণের লক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই পরীক্ষামূলকভাবে উড্ডয়ন করা হচ্ছে, যা উড্ডয়ন-নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিস্বরূপ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ড্রোন উড্ডয়নের ব্যাপারে আইএসপিআরে তথ্য না থাকায় অন্য বেসামরিক কিংবা সামরিক বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কাকে নাকচ করা যায় না।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশের আকাশসীমায় সব বিমান চলাচল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রেগুলেশন এবং বিমানবাহিনীর নির্ধারিত নিয়মনীতি ও সরাসরি নিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরিচালিত হয়। তা ছাড়া নির্ধারিত আকাশপথগুলো ছাড়া অন্যান্য স্থানে যেকোনো ধরনের উড়োজাহাজ উড্ডয়নের জন্য বিমান বাহিনী কর্তৃক মতামত ও পূর্ব-অনুমোদন প্রয়োজন। বাংলাদেশের আকাশসীমা রক্ষার গুরুদায়িত্ব বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওপর অর্পিত বিধায় বাংলাদেশের আকাশে যেকোনো ধরনের উড্ডয়নের ব্যাপার বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের অবহিত হওয়া অত্যাবশ্যক।
আইএসপিআর জানায়, এ ব্যাপারে সব সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রেগুলেশন ও বিমানবাহিনীর নিয়মনীতি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪